অর্থনীতি

নভেম্বরের ১৬ দিনে এলো ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয়

২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয়। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার পরের মাসগুলোতেও কিছুটা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের মতো সদ্য বিদায়ী অক্টোবরেও প্রবাসী আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

Advertisement

অক্টোবরে প্রায় ২৪০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। অন্যদিকে চলতি মাস নভেম্বরেও রেমিট্যান্সের গতি ভালো রয়েছে। নভেম্বরের প্রথম ১৬ দিনে এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাস নভেম্বরের ১৬ দিনে এসেছে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৪২ কোটি ৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৮ কোট ১৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার।

সেপ্টেম্বরের পুরো সময়ে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে।

Advertisement

এছাড়া জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

ইএআর/এমআরএম/এএসএম

Advertisement