সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে ৯১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময়ে নারী ধর্ষণ বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে মামলা দায়ের, দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
Advertisement
তবে অক্টোবর মাসে কোনো গুমের ঘটনার অভিযোগ মেলেনি। যদিও এ মাসে নিখোঁজের অভিযোগ এসেছে ছয়টি।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানায়, গৃহীত অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অক্টোবর মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, এ মাসে গণপিটুনি, ধর্ষণ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয় ছিল। এ মাসে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা ও অপরাধজনিত কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক বেড়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশনসেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে গণপিটুনির সংখ্যা ছিল ২০টি, অক্টোবর মাসে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে ২৬টি। এতে নিহত হয়েছেন ১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন। অক্টোবরে ২২ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এসময়ে ২৩ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৮টি।
এছাড়াও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে। এ মাসে কারা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।
আলোচ্য সময়ে গুমের কোনো ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছর আগে হওয়া গুমের বিষয়ে এ মাসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগ যেমন, ঘুস, চাঁদা দাবি, মামলা না নেওয়া ইত্যাদি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
গত সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন কাঁচা মরিচ, ডিম, আলু ইত্যাদির বাড়তি দাম নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে কমিশন জানায়, অক্টোবর মাসে নিখোঁজ ৬টি, সংখ্যালঘু নির্যাতন ৩৫টি, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে দুইটি। এছাড়া যৌন নির্যাতনের ঘটনা ১৪টি, পারিবারিক সহিংসতা ৪৩টি, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ২৬টি ও কারা হেফাজতে ৫টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এসএম/কেএসআর/এমএস