সিসা বিষক্রিয়ায় মৃত্যুহারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ অবস্থায় সব পদার্থে ক্ষতিকর সিসার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে পড়বে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত ‘সিসামুক্ত বাংলাদেশ: আমরা কীভাবে পৌঁছাব?’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় এ বিষয়ে উপস্থাপিত গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসা রয়েছে। বায়ু, পানি, মাটি, খাদ্য এবং রং ও রান্নার পাত্রের মতো সামগ্রী থেকে এর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে ভারী ধাতুর দূষণও বেড়েছে। যা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সেখানে আরও জানানো হয়, খেলনা, খাবার, মসলা, রঙসহ সব পদার্থে ক্ষতিকর সিসার ব্যবহার অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। সিসা বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
Advertisement
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার সব অংশীজনের সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে। সিসা দূষণের উৎস শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
সিসা এবং ভারী ধাতু দূষণকে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ভারী ধাতু দূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষত শিশুদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের একত্রিত করা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এসময় বক্তৃতা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স, ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড আইশ্লিম্যান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
Advertisement
আরএএস/এমকেআর/এমএস