পাহাড়ের অস্থিরতা কাটিয়ে প্রায় দেড় মাস পর খুলে দেওয়া হলো মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে সাজেক আবারও পর্যটকের পদচারণায় চেনা রূপে ফিরেছে।
Advertisement
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালের স্কোয়াডে ২৪৭ জন পর্যটক সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিকেলের স্কোয়াডে প্রায় ৫০০ এর বেশি পর্যটক যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেড় মাস ধরে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ করতে না পারায় ৮-৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এছাড়া ১৪টি রেস্তোরাঁ আছে।
Advertisement
চাঁদের বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়াছিন বলেন, আমাদের গত দেড় মাসে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা স্টাফ বাদ দিতেও বাধ্য হয়েছি। আশা করছি এবার আমাদের ব্যবসা ভালো হবে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, অবশেষে সাজেকে ভ্রমণের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আমাদের গত দেড় মাসে যে ৮-৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে পারবো।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, শুধু লোকসান রিসোর্ট-কটেজ কিংবা রেস্টুরেন্ট মালিকদের হয়নি। পর্যটকদের বহন করা জিপ চালক, হেলপারদেরও অলস সময় কাটাতে হয়েছে। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও গত দেড় মাসে কোনো বেচাকেনা হয়নি। এতে তাদেরও ক্ষতি হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ির ওপর দিয়ে যেতে হয়। যেহেতু খাগড়াছড়িতে ৫ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে, তাই পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন। আর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।
Advertisement
সাইফুল উদ্দীন/জেডএইচ/জিকেএস