বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একজন সংগীতশিল্পীকে (৫০) অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে মোল্লা জালালকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
Advertisement
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর সেগুন বাগিচার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাংবাদিক মোল্লা জালাল (৬৫) ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের (৫৪) বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন এক নারী (৫০)। এজহারে তিনি নিজেকে সংগীত শিল্পীহিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেফতারমামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। আমি একজন সংগীত শিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেস ক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে শাহবাগ থানাধীন শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে আসামি মোল্লা জালালের একজন লোক রানার সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাত সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের নিকট পৌঁছালে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা একজন লোক আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যান। উক্ত স্থানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম এবং অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি আমাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করেন। অন্য আসামিদের সহায়তায় আসামি মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি চিৎকার করলে আসামি আমাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।’
Advertisement
‘পরদিন ভোর অনুমান ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে আমাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের নিকটে রাস্তায় রেখে চলে যান। আমি বাসায় ফিরে আমার ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীর নিকট ঘটনার বিস্তারিত বলি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয়।’ মামলার অভিযোগে বলেন এই নারী।
জেএ/ইএ/জিকেএস