দেশজুড়ে

বিএনপি-জাতীয় পার্টির হামলায় জামায়াতের ১৪ নেতা-কর্মী আহত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির যৌথ হামলায় জামায়াতের ১৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বাড়বকুণ্ডের মাহমুদাবাদ জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

আহতদের মধ্যে মো. ফারুক নামে এক জামায়াত কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল কবির দিদার দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ দখলে নিয়ে কোনো উন্নয়ন কাজ না করায় এলাকাবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দিদারকে সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসী ও জামায়াত কর্মীরা অনুরোধ করেন। তখন বিএনপির লোকজন দিদারের পক্ষে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা জামায়াত কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে চারজন গুরুতর ও আরও ১০ জন আহত হন।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মঞ্জু বলেন, দিদারুল কবিরের নেতৃত্বে বিএনপির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামায়াত নেতা-কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জামায়াত কর্মী ফারুককে চমেকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আবু সুফিয়ান, পারভেজ ও হাসানসহ আরও ১৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

Advertisement

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়। সবাই কোনো না কোনো দলের সমর্থন করে। এই কারণে হয়তো দলের নাম চলে এসেছে। এখানে মূলত মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বসে মীমাংসা করে নেবো।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দিদারুল কবিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, বাড়বকুণ্ডের মারামারি ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। এটা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।

এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম

Advertisement