চট্টগ্রামে কৃষি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুইটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম।
Advertisement
এসব মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯, ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম।
তিনি বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরবর্তীতে পরিশোধ না করে খেলাপি হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। মূলত কৃষি ব্যাংকের ওই সময়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন চট্টগ্রামে বিতরণ হয়নি সাড়ে ১২ লাখ স্মার্ট কার্ড জাতীয় পতাকা অবমাননা, চট্টগ্রামে দুই যুবক গ্রেফতারএক মামলার আসামিরা হলেন, মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান হেফাজতুর রহমান, কৃষি ব্যাংকের পটিয়া শাখার সাবেক আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইলিয়াছ বাঙালি, ষোলশহর শাখার সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস কে এস মুরশেদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া খান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এসএভিপি মো. নাছির উদ্দিন এবং মেসার্স গ্লোব ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মাহবুবুল আলম চৌধুরী। এ মামলায় ৪৮ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখায় এ ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সুদ-আসলে ২০৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা পাওনা দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
অপর মামলার আসামিরা হলেন, মেসার্স এন এ করপোরেশনের মালিক মোহাম্মদ নুরুল আবছার, কৃষি ব্যাংকের পটিয়া শাখার সাবেক আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইলিয়াছ বাঙালি, ষোলশহর শাখার সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস কে এস মুরশেদ, এসপিও মোহাম্মদ হাশেম এবং সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া খান। এ মামলায় ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে একই ব্যাংকে এ ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সুদ ও আসল মিলিয়ে পাওনা দাঁড়িয়েছে ৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এমডিআইএইচ/কেএসআর/জিকেএস