কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন দ্বিতীয়বারের মতো সাফজয়ী মেয়েরা। আজ (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় দেশে এসে নামেন তারা। সেখান থেকে ছাদখোলা বাসে বাফুফের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। শিরোপাজয়ী বাংলার এই বাঘিনীদের জন্য নতুন দাবি তুলেছেন চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
Advertisement
সাফ ফুটবলজয়ী মেয়েরা তাদের ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবি উষ্ণ অভ্যর্থনা কুড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শিরোপার ট্রফি নিয়ে ঘুমানো ফুটবলারদের মজাচ্ছলে দেওয়া সেসব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারুকী লিখেছেন, ‘ঘুমানোর এই পদ্ধতিটা উদ্ভাবন করেছেন গুরু লিওনেল মেসি। একে নিজের করে নিলেন বাংলার বাঘিনীরা। এখন যথাযথ পুরস্কারের মাধ্যমে তাদের সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই। উদার সরকারি পুরস্কার কেবল পুরুষ দলের জন্য হওয়া উচিত নয়।’ ওই পোস্টে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে মেনশন করে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ফারুকী।
আরও পড়ুন:
প্রফেসর ইউনূসের উচিত বাড়িটা ভিজিট করা পদত্যাগপত্র কোথায়, জানালেন ফারুকী আওয়ামী লীগকে যে পরামর্শ দিয়েছেন ফারুকীশুধু ফারুকীই নন, তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদ্যনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল। নিজের ফেসবুক পেজে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন! অভিনন্দন!! অভিনন্দন!!!’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পুরো দেশের মানুষ আজ আমাদের নারী ফুটবলারদের নিয়ে গর্বিত, আমরা আনন্দিত। নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় এই জয় আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে, যেকোনো প্রতিকূলতা জয়ে এই নারী চ্যাম্পিয়নরা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’ এএফসির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাবিথ আউয়াল এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
Advertisement
গতকাল সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমার গোলে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আমিশা কার্কির গোলে সমতা ফেরায় নেপাল। ৮১ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার দারুণ এক গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সাফজয়ী নারী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। ফোনে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ২০২২ সালেও সাফ ফুটবলে বিজয়ী হয়েছিলেন নারী ফুটবল দল। সে বছর দেশে ফিরলে ছাদখোলা বাসে তাদের শোভাযাত্রার মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো হয়। এ বছরও সেই ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে।
আরএমডি/জেআইএম