ঋতু পরিবর্তনের এ সময় কমবেশি সবাই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। জ্বর-সর্দি যদিও দ্রুত সেরে যায়, তবে কাশি সহজে সারে না। সাধারণত কাশি দু’ধরনের হয়। শুকনো বা খুসখুসে কাশি ও শ্লেষ্মা বা কফযুক্ত কাশি।
Advertisement
খুসখুসে কাশি বেশ বিরক্তিকর ও কষ্টকরও বটে। ফ্লু বা সর্দির কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে এ কাশি। এছাড়া ধোঁয়া, ধূলিকণা, দূষণ, পরাগ ও অন্যান্য অ্যালার্জির মতো পরিবেশগত কারণেও খুসখুসে কাশি হতে পারে।
এছাড়া হাঁপানি, নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিস, যক্ষ্মা, গ্যাস্ট্রো-এসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজসহ (জিইআরডি) ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ ইত্যাদি শুকনো কাশি হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
আপনি যদি এ সময় খুসখুসে বা শুষ্ক কাশিতে ভোগেন, তাহলে প্রথমদিকে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় মেনে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। এজন্য ভরসা রাখুন ভেষজ ৩ উপকরণে-
Advertisement
খুসখুসে কাশির সমস্যা কমাতে নিয়মিত গরম পানির নিতে পারেন। ফলে গলার শুকনোভাব কমবে পাশিপাশি গলাব্যথা ও কাশির তীব্রতাও কমবে। গরম পানিতে সামান্য টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে ভাঁপ নিলে আরও ভালো ফল পাবেন। প্রতিবার অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য ভাঁপ নিন। এছাড়া স্টিম বাথও নিতে পারেন।
আরও পড়ুন
ত্বকের রং পরিবর্তন কঠিন রোগের ইঙ্গিত নয় তো?প্রিয় মানুষটির রাগ ভাঙাবেন কীভাবে? আদাআদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বিভিন্ন প্রদাহ কমায়। শুকনো কাশি দূর করতে নিয়মিত পান করতে পারেন আদা চা। এছাড়া আধা চা চামচ আদার গুঁড়া এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দৈনিক অন্তত ৩ বার পান করতে পারেন।
লবণ পানি গার্গলগলাব্যথা কিংবা কাশির সমস্যা সমাধানে লবণ পানির গার্গল করারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। লবণাক্ত পানি গ্রহণের ফলে গলার খুসখুসে ভাব কমে আসে। এজন্য এক গ্লাস গরম পানিতে আধা টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন।
Advertisement
ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণের পরেও যদি আপনার কাশি না কমে থাকে; তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষত যদি সর্দির পাশাপাশি কাশি এবং উচ্চমাত্রায় জ্বর হয়ে থাকে।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/জেআইএম