জাতীয়

চট্টগ্রামে শহীদদের নামে সড়কের নামকরণের দাবি বিএনপির

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের নামে বিভিন্ন সড়ক করে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উল্লাহ।

Advertisement

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কাজীর দেউরী মোড়ে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনের বিচারের দাবিতে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদ’ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘যেসব ছাত্র-জনতা আওয়ামী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার না করলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তাই চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বিসহ শহীদদের নামে রাস্তার নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।’

এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘শেখ হাসিনা একসময় গর্ব করে বলেছিল, আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কেন পালাতে হলো? রান্না করা খাবার পর্যন্ত কপালে জোটে নাই। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিচার হয়েছে। এখন খুনি হাসিনাসহ যেসব ব্যক্তি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।’

Advertisement

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে বারবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এ রকম দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই ওয়াসিম আকরামসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেলের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন রশিদ ও মহসিন কবির আপেলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

নাজিমুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আইন বলে কিছু ছিল না। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা সারাবিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারাবিশ্ব এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো বিভিন্ন মহলে মিশে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ রাজু।

Advertisement

এএজেড/এমআরএম/এমএস