জাতীয়

ফিটনেসবিহীন যানবাহন ৬ মাসের মধ্যে রাস্তা থেকে অপসারণ

২০-২৫ বছরের পুরোনো ও ফিটনেসবিহীন বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ প্রভৃতি মোটরযান আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাস্তা থেকে অপসারণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার আব্দুল গনি রোডে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরাতন যানবাহন অপসারণ ও যানজট নিরসন’ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘব ও দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফেরানোসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

আরও পড়ুন

Advertisement

দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চার লাখ ৮১ হাজারফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধে প্রত্যেক জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ

এরই অংশ হিসেবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক উপদেষ্টা ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক ভেহিকেল চালু করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সুযোগ নিতে বলেন এবং এজন্য সহজ শর্তে ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান।

ঢাকা শহরকে একটি নিরাপদ নগরীতে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএ, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ নিয়মিতভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস চেক করবে। একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ ও যানজট নিরসনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঢাকাকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার অঙ্গীকার করে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনের জন্যই ক্ষমতায় আছেন এবং ঢাকা শহরের দীর্ঘদিনের এ সমস্যা বাস্তবতার নিরিখে সমাধান করতে হবে।

আরও পড়ুন

Advertisement

পুলিশকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে সড়কে ফিটনেসবিহীন বাস, বাড়ছে দুর্ঘটনা

এছাড়া সড়ক সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান জানা এবং মেনে চলা, চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, পথচারী ও যাত্রী নির্বিশেষে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম