জাতীয়

রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক তিনিই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনিই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা রাষ্ট্রপতি হিসেবে চাইবো।

Advertisement

বুধবার (২৩ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘৭২র মুজিববাদী সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর অপসারণ’ দাবিতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি’ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সারজিস আলমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীর বিলোপ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ১৫ বছরে যারা ভোট দিতে পারেনি, তারা তা পারবেন। আমরা শহীদ-আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করি। তবে তাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণের যে বাধা রয়েছে সে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসুক সমাজের বিজ্ঞ লোকগুলো একসঙ্গে বসুক, বসে তারা সিদ্ধান্ত নিক; কে রাষ্ট্রপতি হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রের প্রধান যিনি হবেন তিনি যেন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেনে নেবে না। রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনি হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা চাইবো।

আরও পড়ুন রাষ্ট্রপতির অপসারণ নাকি পদত্যাগ, পরবর্তী প্রক্রিয়া কী? সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিতে আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো দল যদি বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে সে দলকেও আমরা বয়কট করবো ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে। আমরা বাহাত্তরের পচা-গলা সংবিধান মানবো না। বাহাত্তরের সংবিধান থাকলে রাজনৈতিক সংকট থাকবে দূর হবে না।

নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা কোনো গোলটেবিল আলোচনা চাই না। আমরা রাজপথে বিশ্বাসী, রাজপথে থেকেই সমাধান করতে চাই। রাজপথে থেকে হাসিনা পালিয়েছে, রাজপথেই সিদ্ধান্ত হবে চুপ্পু কোথায় যাবে। রাজনৈতিক কোনো দল যদি কোনো ইনডোর রুমে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে আমরা রাজপথে থেকেই সেটার সমাধান করবো।

ইএআর/বিএ/এমএস

Advertisement