দেশজুড়ে

সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণের প্রতিবাদে গণমিছিল

সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ ও পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও গণমিছিল করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপজুড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন ও গণ মিছিলে ছাত্রনেতা তাওহীদুল ইসলাম বলেন, সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপনে নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।

তিনি আরও বলেন, দ্বীপের ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। আমাদের পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement

সেন্টমার্টিনের হোটেল মারমেইড রিসোর্টের মালিক মাহবুব আলম বলেন, দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার নামে দ্বীপের পর্যটক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সরকারি যদি দ্বীপে পর্যটক আসা সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন বন্ধ করে, তাহলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বো।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবেন, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।

এসআর/এমএস

Advertisement