দেশজুড়ে

ওয়াটার বাইক থেকে সাগরে পড়ে পর্যটকের মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের তোড়ে ওয়াটার বাইক থেকে ছিটকে সাগরে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সৈকতের সী গাল পয়েন্টে তিনি ওয়াটার বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন।

Advertisement

এ ঘটনায় সৈকতে চলমান ১০ নম্বর ওয়াটার বাইকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও মালিক পলাতক বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নিহত পর্যটক আল মামুন হাওলাদার (৩২) বরিশালের উজিরপুরের নুরুল আলম হাওলাদারের ছেলে। তবে তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় বাস করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে তিনি কলাতলীর সী পার্ক হোটেলে উঠেছিলেন। ওয়াটার বাইকে থাকা অবস্থায় সেলফি তুলতে গিয়ে তিনি পড়ে মারা যান বলে প্রচার পেয়েছে।

বিচকর্মী বেলাল হোসেন বলেন, ভাড়ায় চালিত ১০ নম্বর ওয়াটার বাইকে দুপুর ১২টার দিকে রাইড করেন আল মামুন। এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ওয়াটার বাইক থেকে পানিতে পড়ে গেলে তিনি আর উপরে উঠতে পারেননি। তাৎক্ষণিক তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওয়াটার বাইকটি ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে আছে।

Advertisement

সূত্র জানায়, পর্যটক মামুন ওয়াটার বাইকে তীর থেকে কিছু দূরে গিয়ে আবার তীরে ফেরার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে লাইফগার্ড ও ওয়াটার বাইক সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন বলেন, ওয়াটার বাইকে ওঠা পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরানো বাধ্যতামূলক। ওনার গায়ে লাইফ জ্যাকেট থাকলেও সামনের বেল্টটা খোলা ছিল। পর্যবেক্ষণে জানা গেছে- পর্যটক মামুনের স্বাস্থ্য মোটা হওয়ায় বেল্টটি তিনি যথাযথভাবে লাগাতে পারেননি। এরপরও ওয়াটার বাইক থেকে পড়ে পর্যটক মারা যাওয়ার পর তাকে চড়ানো ওয়াটার বাইকসহ অন্যসব ওয়াটার বাইক নিমিষেই তুলে নিয়ে গেছেন মালিক-চালকরা। পালিয়েছেন ১০ নম্বর বাইকের চালক ও হেলপার। এরপরও বাইকটি জব্দ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, দুপুর সোয়া একটার দিকে হাসপাতালে আনা এক তরুণ আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জিকেএস

Advertisement