জাতীয়

কর্ণফুলী নদীর ১০ ঘাটে মাঝিদের বৈঠা বর্জন, যাত্রী পারাপার বন্ধ

সদরঘাট, অভয়মিত্রঘাট ও বাংলাবাজার নৌ ঘাট তিনটিতে পেশাদার সাম্পান মাঝিদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের খাস আদায়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীর ১০ ঘাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈঠা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত একাধিক সংগঠন।

Advertisement

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর এসব ঘাটে সাম্পান চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে কয়েকশ সাম্পানের মাঝি।

এতে নতুনব্রিজঘাট, তোতারবাপের হাট, বিডব্লিউ ঘাট, দক্ষিণপাড় পুরাতন ব্রিজঘাট, সদরঘাট, অভয়মিত্র, কর্ণফুলী ঘাট, বাংলা বাজার ঘাট, সল্টগোলা ঘাটে (পাটনিজীবী নাই) ইঞ্জিনচালিত সাম্পান চলাচল বন্ধ রেখেছো মাঝিরা। তবে জরুরি রোগী সেবা ও খাদ্যদ্রব্যের পারাপারে মানবিকতা দেখাচ্ছেন মাঝিরা। নদীর অন্যান্য ঘাটে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন ও ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি এসএম পেয়ার আলী।

Advertisement

২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পেশাদার সাম্পান মাঝিদের সমিতিকে নৌ ঘাটগুলো ইজারা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নির্দেশনাটি মানছেন না বলে মাঝিদের দাবি।

চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পেশাগত সাম্পান মাঝি (পাটনিজীবী) থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে পাটনিজীবী নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ইজারা দিচ্ছে। ঘাট হারা মাঝিরা চসিকে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।

এএজেড/এমআইএইচএস/এমএস

Advertisement