ক্যাম্পাস

ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটকে দিলেন জবি শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার প্রতিবাদে সদরঘাটগামী ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সদরঘাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসব বাস আটকে রাখেন তারা। এ বিষয়ে আজ প্রক্টর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের এক শিক্ষার্থী ভিক্টর ক্লাসিক বাসে হয়রানির বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভেক্টর ক্লাসিকের বাস মালিকদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ অক্টোবর গুলিস্তানে হাফ পাস নিয়ে তর্কবিতর্কের সময় হেনস্তার শিকার হন জবি শিক্ষার্থী জান্নাত এশা। পরে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে তার হেনস্তার ঘটনাটির বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেন। পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৪ অক্টোবর নতুনবাজার থেকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ভেক্টর ক্লাসিক বাসে উঠি, সঙ্গে আমার ছোট বোন ছিল। আমি সম্পূর্ণ ভাড়া দিলেও গুলিস্তান এসে হেলপার বলেন বাস সদরঘাট যাবে না। এরপর গুলিস্তান থেকে সদরঘাট আসার ভাড়ার টাকা ফেরত চাইলে হেলপার আমাকে হেনস্তা শুরু করেন। এসময় আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও হেলপার ভাড়া ফেরত দেবে না জানায় এবং জগন্নাথের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি কি করতে পারি এধরনের বিভিন্ন হেনস্তামূলক কথা বলেন। এছাড়া শুক্রবার বাসে যৌন হয়রানির একটি পোস্ট দেখে আমরা সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করি। এবং আজ এসে অভিযোগ করেছি।

Advertisement

এ ঘটনায় প্রক্টরের ডাকে ভিক্টর ক্লাসিকের মালিক পক্ষ থেকে মোহাম্মদ দুলাল, শাহ-আলম গোপালসহ অনেকে এসেছেন। তারা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এবং তিনদিনের সময় নিয়ে প্রক্টর বরাবর একটি মুচলেকা দেন।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ্জামুল হক বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের তিনদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর ভেতরে অভিযুক্ত হেলপারকে হাজির না করলে ভিক্টর ক্লাসিকের সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ওই হেলপারকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

আরএএস/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement