দেশজুড়ে

রেলক্রসিং নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে গ্রামবাসীর আলটিমেটাম

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের অদূরে ডহরশৈলা এলাকায় রেলক্রসিং নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী বাইপাস-ঢাকা রেলরুটের ডহরশৈলা গ্রামে রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় ডহরশৈলাসহ আশপাশের কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।

বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের কাছে রেলক্রসিং নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়ে বলেন, যদি তিন দিনের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা রেললাইনের ওপর আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদী ও লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এ গ্রামে ছয় শতাধিক পরিবারের বসবাস। ১৯৯৯ সালে যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে রেলের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল সংযুক্ত করার জন্য জয়দেবপুর পর্যন্ত ৯৯ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়। এই রেললাইন ডহরশৈলা গ্রামটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। গ্রামের একপাশে ৪০০ এবং অপরপাশে ২০০ পরিবার বসবাস করে। এতে শতবছরের কাঁচা রাস্তাটি ভাগ হয়ে যায়। রেলগেট ও গেটম্যান না থাকায় এ গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন।

Advertisement

বাজারঘাট, চিকিৎসা ও শিশুদের স্কুল-কলেজে চলাচলের ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মরদেহ দাফন, শিক্ষা, চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে রেললাইন অতিক্রম করে ঈশ্বরদীর সংযোগ সড়ক দিয়ে আসতে হয়।

ডহরশৈলা গ্রামের সাব্বির হোসেন জানান, এ গ্রামের ৪০০ পরিবার নিজ উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে তাদের কষ্ট লাগবের জন্য সোহেলের বাড়ি থেকে রেললাইন পর্যন্ত নিজস্ব জমি ছেড়ে দিয়ে ১০ ফুট প্রশস্ত ও এক হাজার ২০ ফুট দীর্ঘ পাকা রাস্তা নির্মাণ করছেন। এখন একটাই দাবি, দুই পাড়ের সংযোগ স্থাপনের জন্য রেললাইনের ওপর রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগ দিতে হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু তারা আমাদের কাছে কোনো লিখিত আবেদন করেননি বা সরাসরি যোগাযোগও করেননি।

তিন দিনের আলটিমেটামের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলগেট স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকারের কিছু আইন-কানুন আছে। আমরা সে অনুযায়ী রেলক্রসিং নির্মাণ করি।

Advertisement

শেখ মহসীন/এসআর/জিকেএস