সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আরএফএল গ্রুপের রেইনবো পেইন্টসের বনশ্রী এবং গাউছিয়া শাখার শোরুম ম্যানেজারসহ কয়েকজন ব্যক্তি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তা কর্তৃক নামাজের সময় অনলাইনে মিটিং করার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইসলাম ধর্ম পালনে বাধা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়ে মানববন্ধন করেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
Advertisement
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনায় প্রতিষ্ঠানের সবাই বিস্মিত। কারণ, এ গ্রুপে কর্মরত প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই ধর্মপ্রাণ মুসলমান। গ্রুপটি পথচলার শুরু থেকেই কর্মীরা যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নামাজ ও রোজাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে পারে, সেজন্য সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অফিস ও কারখানাসহ সব স্থাপনায় নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি প্রতিটি কারখানায় মসজিদ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম রয়েছে, যেখানে সব ধর্মপ্রাণ মুসলমান প্রতি ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করছেন।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। যে সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সাপেক্ষে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানির নিয়মানুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় গ্রুপের পক্ষ থেকে দেশের ধর্মপ্রাণ সব মুসলমান ভাই-বোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো।’
Advertisement
জেএইচ/এএসএম