যে কোনো সুন্দর ও ভালো কাজ ডান হাত দিয়ে করা বা ডান দিক থেকে শুরু করা উত্তম। খাওয়া, পান করা, কারো কাছ থেকে কিছু নেওয়া বা দেওয়া, মুসাফাহা, লেখা ইত্যাদি কাজ ডান হাতে করা মুস্তাহাব। কাপড় পরিধান করা, মসজিদে প্রবেশ করা, গোঁফ খাটো করা, মাথা মুণ্ডানো, নামাজে সালাম দেওয়া ইত্যাদি কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব।
Advertisement
এর বিপরীত কাজগুলো বাম হাতে বা বাম দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব। ইস্তেনজা, নাক পরিস্কার করা বাম হাতে করা মুস্তাহাব। বাথরুমে প্রবেশ করা, মসজিদ থেকে বের হওয়া, জামা খোলা ইত্যাদি কাজগুলো বাম দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব।
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নিজের সব কাজ যথাসম্ভব ডানদিক থেকে শুরু করতে পছন্দ করতেন। পবিত্রতা অর্জন, মাথা আঁচড়ানো, জুতা পরিধান ইত্যাদি কাজ তিনি ডান দিক থেকে শুরু করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
সুতরাং যে কোনো লেখা বিশেষত কোরআনের আয়াত ডান হাতে লেখাই সমীচীন ও উত্তম।
Advertisement
কিন্তু কেউ যদি বাঁহাতি হয়, বাম হাতে লেখায় অভ্যস্ত হয়, অথবা তার ডান হাতে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সে বামহাতে যে কোনো লেখা লিখতে পারে। কোরআনের আয়াতও লিখতে পারে।
বাম হাতে পানাহারের বিধানবাম হাতে খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় কাজ। বাম হাতে খাওয়ার নিন্দা ও ডান হাতে খাওয়ার নির্দেশ এসেছে বিভিন্ন হাদিসে। একটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে দান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে দেয় এবং বাম হাতে গ্রহণ করে। (ইবনে মাজাহ: ৩২৬৬)
কিন্তু কেউ কোনো অসুস্থতা বা বিশেষ কারণে ডান হাত ব্যবহার করতে না পারলে পানাহারের সময়ও বাম হাত ব্যবহার করতে পারবে।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement