রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি কাজ পরিত্যাগকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার আবশ্যকতা তুলে ধরেছেন। যা ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য। কাজ তিনটি হলো- ঈমান, নামাজ ও জাকাত। যারা এ কাজগুলো পালন করবে আর যারা তা পালন করবে না। তাদের করণীয় বিষয়ে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস তুলে ধরা হলো-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাকে এ মর্মে আদেশ করা হয়েছিল যে, লোকেরা যে পর্যন্ত এ সাক্ষ্য প্রদান না করে যে, আল্লাহ ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসুল, আর নামাজ প্রতিষ্ঠা না করে, জাকাত আদায় না করে, সে পর্যন্ত আমি যেন তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাই। অতপর তারা যখন এ সব কাজ করবে, তখন আমার পক্ষ হতে তাদের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ থাকবে। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী কোনো দণ্ড পাওয়ার যোগ্য অপরাধ করলে তা তাকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আর (তাদের অন্তরের ব্যাপারে) হিসাব-নিকাশের ভার আল্লাহর উপরই ন্যস্ত। (বুখারি-মুসলিম)ঈমানের পর শুধুমাত্র নামাজ ও জাকাতের উল্লেখের উপকারিতাঈমান আনয়নের মাধ্যমে যদি লড়াই করার বিধান স্থগিত হয়ে যায়, তারপরও নামাজ এবং জাকাতের উল্লেখের কারণ হলো->> ঈমান আনয়ন শুধুমাত্র মৌখিক স্বীকৃতি। নামাজ প্রতিষ্ঠা এবং জাকাত আদায়ের মাধ্যমে পরিপূর্ণ মুমিন হওয়ার নির্দশন বহন করে।>> নামাজ এবং জাকাতের বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা যায়।>> ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকনদ্বয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঈমান দৃঢ় হয় এবং ক্রমান্বয়ে ঈমানদার পরিপূর্ণতার স্তরে উপনীত হয়।>> কোনো কোনো মুহাদ্দিস মনে করেন, শরিয়তের ফরজ ও ওয়াজিব তরককারীদের বিরুদ্ধে লড়াই অপরিহার্য। যেমন হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহ আনহু জাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে আমরণ লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঈমান আনয়নপূর্বক নামাজ প্রতিষ্ঠা এবং জাকাত আদায় করার মাধ্যমে হাদিসের ওপর পরিপূর্ণ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement