মাছ চাষ আমাদের কৃষি আয়ের অন্যতম উৎস। তাই পোনা মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুত করে নিতে হবে। নতুন পুকুর না হলে পুরোনো পুকুরই প্রস্তুত করে নেওয়া যায়। প্রস্তুতির কাজটি পর্যায়ক্রমে করতে হবে। আসুন জেনে নিই, মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতির পদ্ধতি।
Advertisement
১. জলজ আগাছা, কচুরিপানা, কলমিলতা, হেলেঞ্চা শেকড়সহ তুলে ফেলতে হবে।২. রাক্ষুসে মাছ এবং অবাঞ্ছিত মাছ সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে ফেলতে হবে।৩. প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন ছিটিয়ে দিতে হবে।৪. পুকুরে পানি থাকলে ড্রামে বা বালতিতে গুলে ঠান্ডা করে পুরো পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।৫. মাটি ও পানির গুণাগুণ বিবেচনায় রেখে চুন দেওয়ার এক সপ্তাহ পর জৈবসার দিতে হবে।৬. পুকুর শুকনো হলে পুকুরে সার, চুন, গোবর ছিটিয়ে লাঙল দিয়ে চাষ করে পানি ঢোকাতে হবে।৭. পোনা মজুতের আগে পুকুরে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকলে মেরে ফেলতে হবে।৮. পুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মালে পোনা মজুত করতে হবে। ৯. পোনার আকার ৮-১২ সেন্টিমিটার হতে হবে।১০. নিয়মমতো পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন
বর্ষাকালে পুকুরের মাছের যত্ন নেবেন যেভাবে জেনে নিন মাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে১১. পোনা হাড়ি বা পলিথিন ব্যাগে আনলে মুখ খোলার আগে পুকুরের পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।১২. ব্যাগের মুখ খুলে অল্প করে ব্যাগের পানি পুকুরে এবং পুকুরের পানি ব্যাগে ভরতে হবে।১৩. ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা যখন সমান হবে; তখন পাত্র বা ব্যাগের মুখ আধা পানিতে ডুবিয়ে কাত করে সব পোনা পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। ১৪. সকাল এবং বিকালই পোনা ছাড়ার উত্তম সময়।১৫. সকাল ১০টা এবং বিকেল ৩টায় খৈল, কুঁড়া, ভুসি ইত্যাদি সম্পূরক খাবার সরবরাহ করতে হবে।১৬. রোগ প্রতিরোধী মাছের পোনা চাষ করতে হবে।১৭. সঠিক সংখ্যায় পোনা মজুত করতে হবে।১৮. পোনা ছাড়ার আগে পোনা রোগে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।১৯. পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।২০. প্রতি ৩-৪ বছর পরপর পুকুর একদম শুকিয়ে ফেলতে হবে।
Advertisement
এসইউ/এএসএম