বাংলাদেশে পুঁইশাক খুবই জনপ্রিয়। মোটামুটি সহজলভ্য হওয়ায় এই শাক সবার কাছে প্রিয়। আমাদের দেশে সাধারণত সবুজ ও লাল ধরনের পুঁইশাক পাওয়া যায়। এই শাক সারাবছরই দেশের হাট-বাজারে বিক্রি হয়। বাড়ির আশপাশে, ভবনের ছাদে বা পতিত জমিতেও পুঁইশাক চাষ করা যায়। এটি চাষের আগে চারা তৈরি করে নিতে হয়।
Advertisement
পুঁইশাকের চারা তৈরির ক্ষেত্রে সারিতে বুনলে প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম বীজ লাগে। ছিটিয়ে বুনলে বীজের পরিমাণ বেশি লাগে। পুঁইশাকের বীজ বপনের জন্য ১৮ থেকে ২০ সেন্টিগ্রেড তামপাত্রা প্রয়োজন। তাই শীতের সময় যখন তাপমাত্রা কম থাকে সেই সময় বীজ বপন করা ভালো। তবে সারাবছরই চাষ করা যায়।
সাধারণত গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে পুঁইশাকের চাষ ভালো হয়। বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জমিতে বুনতে হয়। কখনো কখনো বেডে চারা তৈরি করা যায়। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চারা তৈরির জন্য বেডে বা পলিব্যাগে বীজ বুনতে হয়।
আরও পড়ুন
Advertisement
চারা দুই সপ্তাহের হলে সেগুলো তুলে মূল জমিতে লাগানো যায় বা ফাঁকা জায়গা পূরণ করা যায়। সারিতে বুনলে প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম ও হেক্টর প্রতি ১.৫-২.৫ কেজি বীজ লাগে। বীজ বোনার আগে জমির আগাছা পরিষ্কারের পর ৫ থেকে ৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি উত্তমরূপে তৈরি করতে হয়।
পুঁইশাকের চারা উৎপাদন করে ১৫-২০ দিনের চারা জমিতে লাগানো যায়। পুঁইশাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারি ১ মিটার এবং প্রতি সারিতে ৫০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের পর খাওয়ার উপযোগী হলে লতা কেটে নিতে হয়।
এসইউ/এএসএম
Advertisement