জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নকল্পে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিক বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শুরুতে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ মূল বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গত প্রায় এক দশক ধরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ের ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি হয়েছে দেশে। নারী উন্নয়নে আরেকটি যুগান্তকারী অগ্রগতি হলো নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন এবং তাদের অবদানকে সর্বার্থে স্বীকৃতি দিয়ে সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানোর পক্ষে সমর্থন বৃদ্ধির জন্য জাতীয় নারী উন্নয়ন প্রণয়ন করা হয়।তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মোট বাজেটের মাত্র ২৬ দশমিক ৮০ ভাগ নারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল, যা বিগত তিন অর্থ বছরের শতাংশের হিসাবে প্রায় একই রকম আছে। এভাবে বাজেটে উপেক্ষিত থাকলে নারীদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দের পরিকল্পনা ও মনিটরিং সময় বরাদ্দ নারী উন্নয়ন নীতির কর্মকৌশল অনুযায়ী হচ্ছে কি না তার একটি খতিয়ান আগামী অর্থবছরের জেন্ডার বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নে ফোকাল পয়েন্ট হিসাবে কাজ করছেন তাও সাধারণ মানুষের থাকা দরকার। এসময় তিনি নারী ও কিশোরী নির্যাতন বৃদ্ধির প্রক্ষাপটে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষায় সক্ষম করে তুলতে বিদ্যালয়ে ও কমিউনিটিতে দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণর জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইমা হক বিদিশা বলেন, বলা হয় আমাদের নারী শ্রমিকের অবস্থান বাড়ছে। সে হারে কিন্তু পারিশ্রমিক বাড়ছে না, তাহলে অবস্থান বেড়ে কী লাভ? নেতৃত্বের জায়গায় অংশগ্রহণ বাড়ছে না। অনেক বিষয়ে নারীর বড় অবদান থাকলেও সে হারে তা ওঠে আসে না। তাই আমাদের মনোভাব বদলাতে হবে। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠ্যপুস্তককে জেন্ডার এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সংবেদনশীল করার উদ্যোগ বেগবান করতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবিরের সঞ্চালনায অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএস `র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. প্রতিমা পাল মজুমদার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সদস্যরা।এএস/এসকেডি/এমএস
Advertisement