আল্লাহ তাআলা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বান্দা আল্লাহর কাছে আবেদন ছাড়াই মহামূল্যবান জীবন, প্রখর মেধা ও তীক্ষ্ণ জ্ঞান-বুদ্ধি, নাক, কান, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত-পাসহ অসংখ্য নিয়ামাত লাভ করেছে।এ সুন্দর পৃথিবীতে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ, আলো, বাতাস, পানি ও প্রয়োজনীয় অসংখ্য নিয়ামাত লাভ করেছে। যার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষের কাছে কোনো কিছুই চায় না। শুধুমাত্র তাঁর শুকরিয়া আদায় ছাড়া। সুতরাং আল্লাহর এ অগণিত অসংখ্য নিয়ামাতের সুবিধা ভোগের বিপরীতে শুধুমাত্র তার শুকরিয়া আদায় বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই যথেষ্ট। আল্লাহ তাআলা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হন।এ জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর অসংখ্য নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায়ের কথা কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছেন। যার কিছু তুলে ধরা হলো->> যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৭)>> আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে কৃতজ্ঞ হয়, সে তো কেবল নিজ কল্যাণের জন্যই কৃতজ্ঞ হয়। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সুরা লোকমান : আয়াত ১২)>> অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাতকারী হয়ে থাকো। (সুরা নাহল : আয়াত ১১৪)সুতরাং এ কথা স্মরণযোগ্য যে, বান্দা যদি আল্লাহর নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে এবং তাঁর অবাধ্য কাজ থেকে বিরত থাকে তবে আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি নিয়ামাত আরো বাড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি হাদিস উল্লেখ করা যায়, ‘যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক প্রাপ্ত হয়, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামাত ও বরকত বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত হয় না।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর অবাধ্য না হয়ে প্রাপ্ত নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement