বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখি পালন করে সাফল্যের মুখ দেখছেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের নাহিদ ইসলাম। নাহিদের খামারে বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ কোয়েল পাখি আছে। এই ফার্ম দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক কোয়েল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। স্থানীয় বাজের সৃষ্টি হয়েছে কোয়েল পাখির মাংস ও ডিমের বাজার।
Advertisement
জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম স্বপনের ছেলে নাহিদ ইসলাম ৩ বছর আগে শখের বশে ছোট খাচায় করে ১৬টি কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন। নানা সংকটেও হাল না ছেড়ে পাখির ডিম উৎপাদন ও পালনে মনোনিবেশ করেন। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা ভালো ভাবে না নিলেও এখন দুটি শেডে নাহিদের খামারে ৩ হাজার ২০০টি কোয়েল পালন করছেন। প্রতিদিন এখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে আড়াই হাজরের বেশি ডিম।
প্রতিদনিই এ কোয়েল ফার্ম দেখতে স্থানীয়সহ অনেকেই আসেন। অনেকে নাহিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বাচ্চা সংগ্রহ করে কোয়েল পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। বর্তমানে খাওয়ার উপযোগী কোয়েল পাখি ৬০ টাকা পিস এবং প্রতি হালি ডিম ১২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনখাগড়াছড়িতে পোল্ট্রি খামারে ভাগ্য পরিবর্তনখামারের প্রতিটি বনমোরগ ৩ হাজার টাকানাহিদ ইসলাম জানান, একটি কোয়েল বছরে প্রায় ২০০টি ডিম দেয়। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। ২ মাস বয়স থেকেই কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এখন তিনি একটি বাচ্চা ফোটানোর মেশিন কিনে বাচ্চা উৎপাদন করারও পরিকল্পনা করেছেন।
Advertisement
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার জানান, আমিষের চাহিদা মেটাতে কোয়েল পাখির মাংস বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি কোয়েল পাখির খাবার খরচ কম হওয়ায় এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। এ বিষয় জেলা প্রাণিসম্পদ সবাইকে সহযোগিতা করছে।
বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোয়েল পাখির ডিম এবং মাংসের একটি চাহিদা আছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টেও কোয়েল পাখির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
এসইউ/জেআইএম
Advertisement