অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে।
Advertisement
বাথরুম এমনিতেই জীবাণু আঁতুরঘর। এছাড়া বাড়ির অন্যান্য ঘরের তুলনায় বাথরুমের তাপমাত্রাও বেশি হয়। তাই বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে।
অনেকেই হয়তো ভাবেন, তাদের বাথরুম তো ঝকঝকে তাহলে জীবাণু আসবে কেন? আসলে বাথরুম আপনি যতটাই পরিষ্কার রাখুন না কেন, কমোডে ফ্লাশ দেওয়ার পরপরই ক্ষতিকর প্যাথোজেন ছড়িয়ে পড়ে বাথরুমে। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে, তার ব্যবহারে সংক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
Advertisement
বাথরুম যেহেতু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা, সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিস্তার ঘটে তাড়াতাড়ি। তাই বাথরুমে রাখা টুথব্রাশ ব্যবহার করলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
তাই পরিচ্ছন্ন স্থানে যেখানে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক জন্মানোর সম্ভাবনা নেই, সেসব স্থানে টুথব্রাশ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বাথরুমের বাইরে পরিষ্কার, শুকনো ক্যাবিনেটের মধ্যে রাখতে পারে টুথব্রাশ। ক্যাবিনেটের দরজা বন্ধ করা গেলে ভালো। এতে বায়ুবাহিত দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে আসে না টুথব্রাশ।
ড্রয়িংয়ে বা শোয়ার ঘরেও রাখা যেতে পারে টুথব্রাশ। তবে যেখানেই রাখুন, পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন। আর অবশ্যই প্রতি তিন-চার মাস পরপর টুথব্রাশ পাল্টাতে হবে।
Advertisement
এমনকি ব্যবহারের পর ভালো করে ধুয়ে ও শুকিয়ে নিন টুথব্রাশ। ভুলেও কারও সঙ্গে টুথব্রাশ শেয়ার করবেন না।
সূত্র: এবিপি নিউজ
জেএমএস/জিকেএস