অর্থনীতি

রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার আশ্বাস

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দুই বিশেষজ্ঞ কেভিন স্টিভেনসন ও পিয়ানি মালিক এ আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।বিশ্বব্যাংক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গভর্নর ফজলে কবির ও দুই ডেপুটি গভর্নরের বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থ আদায়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আজ বিশ্বব্যাংকের দুইজন আইন বিষয়ক কর্মকর্তা স্টিভেনসন ও পিয়াসি এসেছিলেন। তারা গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরে সঙ্গে সভায় মিলিত হন। এরআগে তারা বিএফআইইউ’র (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে স্থানান্তরিত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।তিনি জানান, টাকা চুরি যাওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তার সবই দুই বিশেষজ্ঞকে জানানো হয়েছে। তারা অভিমত দিয়েছেন, এসব পদক্ষেপ যথার্থ।শুভঙ্কর সাহা বলেন, ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত অর্থের সামান্য পরিমাণ আদায় হয়েছে, সেটা আনডিজভারইসড (ব্যাংক হিসাবে জমা) অবস্থায় ছিল। আর সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে অংশটা জমা দেয়া হয়েছে, তা ওই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশকে ফেরত দেয়া হবে।তিনি আরো জানান, এখনো এফআরবির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এফআরবির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে, তারাও সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে।ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশে ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা থেকে ৮শ কোটি টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ধামা চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও ফিলিপাইনের একটি সংবাদ মাধ্যমে তা ফাঁস করে দেয়। মূলত ফিলিপাইনের কয়েকটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে এ টাকা পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরি যাওয়া অর্থের কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনের অর্থ পাচারবিরোধী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে বাকি অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে ড. আতিউর রহমানকে। মার্চের শেষ দিকে ব্যাংকটিতে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।এসআই/এনএফ/বিএ

Advertisement