তথ্যপ্রযুক্তি

এআই ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন ৪ সংকেতে

এআইয়ের ছোয়া এখন সর্বত্র। যে কাজই করুন না কেন এআইয়ের সাহায্য পেলে তা আরও সহজ ও দ্রুততর হয়ে যায়। তবে এআই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে আমাদের জীবনে ততটা অভিশাপও বটে। একের পর এক ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে তারকাদের। যা দিয়ে তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

এছাড়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে এআই ব্যবহার করে ভয়ংকর প্রতারণা। যে কারও কণ্ঠ নকল করে কাছের মানুষদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। প্রিয়জনদের গলার আওয়াজ নকল করে ফোন আসতে পারে আপনার কাছেও। বুঝে ওঠার আগেই ফাঁদে পড়ে যাবেন। তাই আগেই কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত।

বর্তমানে সর্বত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিয়ে চর্চা। এরই মধ্যে এই প্রযুক্তির অপব্যবহারও শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিং নিখুঁত হলেও তা ধরার উপায় রয়েছে। মূলত, টার্গেট ব্যবহারকারীর প্রিয়জনদের গলায় এই প্রতারণা করা হয়। জেনে নিন কীভাবে কোন সংকেতগুলো পেলে বুঝবেন এটি ভয়েস ক্লোনিং।

আরও পড়ুন: কম্পিউটারের কিবোর্ডে এআই যুক্ত করলো মাইক্রোসফট 

Advertisement

অপ্রত্যাশিত কলপরিচিতদের গলা নকল করলেও সাধারণত ঠিক কখন প্রিয়জন বা বন্ধুরা ফোন করে তা জানতে পারে না প্রতারকরা। তাই আপনি যদি আত্মীয় বা কোনো বন্ধুদের থেকে অপ্রত্যাশিত কল পান তাহলে সাবধান থাকতে হবে। ভুল সময়ে ঘন ঘন ফোন এলেই সজাগ হন। কল রিসিভ করা তো দূর, সেই নম্বর ভুয়া হলে দ্রুত ব্লক করে দিন এবং পুলিশকে জানান।

জরুরি অনুরোধদয়া করে টাকা পাঠাবেন, ইমার্জেন্সি, খুব দরকার- এই ধরনের শব্দ শুনতে পেলে সাবধান। ইমার্জেন্সির নাম করে আপনার উপর চাপ বাড়াতে পারে জালিয়াতেরা। দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিচয় যাচাই না করা পর্যন্ত কোনো লেনদেন করা উচিত নয়।

গলা হুবহু এক হলেও বলার ধরণ আলাদাহ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির আওয়াজ চুরি করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তির বলার ধরন জানতে পারে না। এই আওয়াজে রোবোটিক সাউন্ড পেতে পারেন, ভুল উচ্চারণ এবং বলার ধরন আলাদা লাগতে পারে। এমন কিছু হলেই বুঝবেন আপনি বাস্তবে কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না। প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও দ্রুত সতর্ক হতে হবে।

টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইবেঅধিকাংশ ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতানো এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার সুযোগে থাকে জালিয়াতেরা। এই পরিস্থিতিতে কখনোই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, ইউপিআই পিন, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। বৈধ সংস্থা বা নিকট আত্মীয় কখনই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম নম্বর এবং ইউপিআই পিন চাইবে না। সেই নম্বর অবিলম্বে রিপোর্ট করুন এবং ব্লক করে দিন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Advertisement

কেএসকে/জিকেএস