কর ফাঁকির ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাধর রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ীরা প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর গুনলাউগসন মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। পানামা পেপার্স নামে পরিচিতি পাওয়া এ গোপন দলিলপত্রকে এযাবৎ কালের সবচেয়ে ব্যাপক গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনা বলা হচ্ছে। এতে ক্ষমতাধর রাজনীতিক থেকে শুরু করে নামকরা সেলিব্রেটি অনেকের কর ফাঁকির গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পানামার একটি লিগ্যাল ফার্ম ‘মোসাক ফনসেকা’ থেকে এসব গোপন দলিল ফাঁস হয়ে যায়। একটি জার্মান সংবাদপত্রের হাতে এসব দলিল আসার পর তারা ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট’ (আইসিআইজে) তা শেয়ার করে বিশ্বের ১০৭টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তাদের এক বছরের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে কর ফাঁকির এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইসিআইজের ওয়েবসাইটে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থপাচারে জড়িত ৩২ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ২ কোম্পানির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক সাংসদ ও তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। কর ফাঁকিতে জড়িত বাংলাদেশিরা হলেন, এ.এস.এম. মহিউদ্দিন মোনেম, এএফএম রহমাতুল বারী, আসমা মোনেম, আজমত মোনেম, ক্যাপ্টেন এম.এ জল, দিলিপ কুমার মোদি, দিলিপ কুমার মোদি, এফ.এম জুবাইদুল হক, এফ.এম জুবাইদুল হক ও সালমা হক, জাফর উম্মিদ খান, কাজী রায়হান জাফর, খাজা শাহাদত উল্লাহ, মাহতাবুদ্দিন চৌধুরী, মির্জা এম ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ আমিনুল হক, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহেদ মাসুদ, মোহাম্মদ শাহেদ মাসুদ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম খান, নজরুল ইসলাম, নাজিম আসাদুল হক, নিলুফার জাফরুল্লাহ, সালমা হক, সৈয়দ সিরাজুল হক, সৈয়দা সামিনা মির্জা, তারিক ইকরামুল হক, উম্মেহ রুবানা, কাজী জাফরুল্লাহ (আ. লীগ সাংসদ), জাফরুল্লাহ কাজী ও জাফরুল্লাহ নিলুফার, জাফরুল্লাহ নিলুফার এবং জুলফিকার হায়দার।এছাড়া আইসিআইজের ওই তালিকায় দুই বাংলাদেশি কোম্পানি বাংলা ট্রাক লিমিটেড ও বিবিটিএলের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। এছাড়া কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের ওই তালিকায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির নাম একাধিকবার উল্লেখ করেছে আইসিআইজে।এসআইএস/আরআইপি
Advertisement