বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারে পরিণত হয়। বিয়ের জন্য পাত্রী নির্বাচনের রয়েছে সুন্নাতি পদ্ধতি। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সম্পদের মালিক, সুস্থ, স্বাধীন ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য বিয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনে স্নেহময়ী, অধিক সন্তান দানকারী এমন, কুমারী, দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী নারীকে বিয়ে করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাত্রী নির্বাচনের সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নারীদেরকে চারটি জিনিসের জন্য বিয়ে করা হয়। ১. সম্পদের জন্য, ২. বংশ-বুনিয়াদের জন্য, ৩. সৌন্দর্যের জন্য এবং ৪. দ্বীনদারীর জন্য। অতএব দ্বীনদারকেই অগ্রাধিকার দাও। তোমার হাত ধূসরিত (মঙ্গল) হোক। (বুখারি ও মুসলিম)সুতরাং বিয়ে করার সময় দেখতে হবে পাত্রীর অর্থ-সম্পদ কেমন আছে, যদি না থাকে তবে দেখতে হবে তাঁর বংশ পরিচয় কেমন, যদি তাও সন্তোষ জনক না হয়, তবে দেখতে হবে পাত্রী সৌন্দর্য তথা সুশ্রী ও আচার-আচরণে সভ্য ও ভদ্র) কিনা? যদি তাও পাওয়া না যায় তবে দেখতে হবে তার মাঝে দ্বীনদারি আছে কিনা অর্থাৎ সে নারীর মাঝে আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত আছে কিনা। যদি কোনো নারীর মাঝে শুধুমাত্র দ্বীনদারী পাওয়া যায়, তবে সে নারী বিয়ের জন্য সর্বোত্তম। আর এ চারটির কোনো একটি পাওয়া গেলে সে নারীকে বিয়ে করা সুন্নাত।আল্লাহ তাআলা হাদিসে বর্ণনা মতে মুসলিম উম্মাহর সকল পুরুষকে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement