পবিত্র কোরআনের ৫৬ নম্বর সুরা ওয়াকিয়া। সুরাটির প্রথম আয়াতে উল্লিখিত ‘ওয়াকিয়া’ শব্দটি থেকে এ সুরার নাম গৃহীত হয়েছে। ‘ওয়াকিয়া’ শব্দের মূল অর্থ ঘটনা, এখানে কেয়ামত বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরায় কেয়ামতের দিন আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা, সাধারণ মুমিন ও কাফেরদের কী অবস্থা হবে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এসেছে জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তির বিবরণ।
Advertisement
এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এ সুরা পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়, অভাব দূর হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে সে কখনও অভাবে পড়বে না। (বায়হাকি: ২৪৯৭)
বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান (রা.) তাকে দেখতে যান এবং বলেন, আমি সরকারি কোষাগার থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেব যা আপনার এবং আপনার মেয়েদের উপকারে আসবে। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, প্রয়োজন নেই। আমি আমার মেয়েদের সুরা ওয়াকিয়া শিক্ষা দিয়েছি। আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, সে কখনও অভাবে পড়বে না।
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement