আল্লাহর স্মরণ ও দোয়া মুমিনের জীবনের সার্বক্ষণিক আমল। মুমিনের জীবনের কোনো অংশ বা কাজই আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে থাকা সমীচীন নয়। খাওয়া আমাদের প্রতিদিনের রুটিনের অপরিহার্য অংশ। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েক বার আমাদের খাবার খেতে হয়। খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করা ও তার নেয়ামতের শোকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর স্মরণে সিক্ত হলে আমাদের খাবার যেমন বরকতময় হতে পারে, পাশাপাশি খাওয়াও ইবাদত হয়ে উঠতে পারে। রাসুল (সা.) বলেছেন, একজন মুসলিম তার সব কাজে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি খাবারের যে লোকমা সে খায় তাতেও সে সওয়াব পায়। (মুসনাদে আহমদ: ১৫৩১)
Advertisement
খাবারের অপরিহার্য দোয়া হলো, শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আল্লাহর নামে খাওয়া শুরু করা। ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অর্থাৎ ‘পরম করুণাময় দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি’ বলতে পারেন অথবা বলতে পারেন ‘বিসমিল্লিাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর বরকতের ওপর খাওয়া শুরু করছি।’
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও খায়। (সহিহ মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই ‘বিসমিল্লাহ’ যেন কোনোভাবেই ছুটে না যায় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ থাকা দরকার। খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গিয়ে খাওয়ার মাঝখানে মনে হলে বলুন, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ অর্থাৎ ‘এর শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে।’
খাওয়া শেষ হলে পড়ুন,
Advertisement
الحمد لله الذي اطعمنا وسقانا وجعلنا من المسلمينউচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আতআমানা ওয়া সাকানা ওয়া জাআলানা মিনাল মুসলিমীনঅর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের খাওয়ালেন, পান করালেন এবং মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
দস্তরখান ওঠানোর সময় পড়ুন,
الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه غير مكفي ولا مودع ولا مستغني عنه ربناউচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবারাকান ফীহি গায়রা মাকফিয়্যিন ওয়া লা মুওয়াদ্দায়িন ওয়া লা মুসতাগনান আনহু রাব্বানা। অর্থ : আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা এমন প্রশংসা যা অশেষ, পবিত্র ও বরকতময়। হে আমার রব! এই খাবারকে অপ্রচুর মনে করে বা চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে বা এর প্রতি বিমুখ হয়ে উঠলাম না।
ওএফএফ/জেআইএম
Advertisement