সবুজের ছায়া ঘেরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দেখা যাচ্ছে রঙের বাহার। সড়কের দু’পাশে, অনুষদ ভবনের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে কিংবা হলগুলোর ভেতরে রং ছড়িয়ে দিচ্ছে লাল, গোলাপি ও হলুদ ফুল। জ্যৈষ্ঠ মাসের সূর্যের কিরণের সঙ্গে রং-বেরঙের ফুলগুলো যেন আলো ছড়াচ্ছে।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকজুড়ে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া দেখে মনে হয়, গাছের ডালে ডালে যেন আগুন লেগেছে। ক্যাম্পাসের সড়কগুলোর দু’পাশে বিশাল বিশাল ছাতার মতো নিজেকে মেলে ধরেছে এ গাছগুলো।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়ার রঙে প্রকৃতি যেন নবরূপে
বাকৃবির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, ‘দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া দেখা যায় এদেশে। যার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ গাছজুড়ে লাল ফুলে ভরে যায়। আরেকটি গাছ আছে লাল ফুলের পাশাপাশি সবুজ পাতাও দেখা যায়। মূলত শোভাবর্ধনের জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছ ব্যবহার করা হয়।’
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে ও ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়জুড়ে হলুদের আভা ছড়াতে দেখা যায় সোনালু ফুলকে। হলুদ রঙের ফুলে ছেয়ে যায় গাছটি। এ গাছের বীজও দেখা যায় মে মাসেই। প্রকৃতিকে নয়নাভিরাম রূপে সাজাতেই যেন গাছটির জন্ম। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে পরিবেশের শোভা বর্ধনে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে সোনালু গাছ।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানি পান করে যে পাখি
অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, ‘সড়কের দু’পাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সারিবদ্ধভাবে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়। তবে সোনালু গাছের আছে ওষুধি গুণাগুণ। সোনালু গাছের বাকল এবং পাতা থেকে ওষুধি নির্যাস পাওয়া যায়। ডায়রিয়া ও বহুমূত্র রোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহার হয় সোনালু। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় সোনালু গাছের বীজের আছে ব্যাপক চাহিদা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সামনে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে গোলাপি ফুলের এক গাছ। অনেকে বার্মিজ গোলাপি সোনালু নামে চিহ্নিত করলেও আসলে এটি ‘ক্যাসিয়া রেনিগেরা’। কাছাকাছি দেখতে এমন আরেকটি গাছ আছে যাকে বাংলায় লাল সোনাইল বলা হয়। গোলাপি রঙের সৌন্দর্যে যে কেউ মুগ্ধ হবে। এ গাছের তেমন কোনো ওষুধি গুণাগুণ না থাকলেও আছে সৌন্দর্য বর্ধনের গুণ।
Advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় পাখি দোয়েল কি বিলুপ্তির পথে? সুশোভিত রঙিন ক্যাম্পাস দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসছেন দর্শনার্থীরা। তারা সেলফি আর ছবি তুলতেই বেশি ব্যস্ত। বেশিরভাগই আসছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে।
এসইউ/জিকেএস