বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন। এমনকি তারা দায়িত্বশীল পদেও রয়েছেন। তবে কর্মক্ষেত্রে নারীরা কী করবেন, কী করবেন না তা জেনে রাখা ভালো। কারণ কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। মেনে চলতে হয় কিছু আদব-কায়দা। আসুন জেনেই করণীয় সেই বিষয়গুলো।নিজের পুরো নামঅফিসে পরিচয় দেয়ার সময় অবশ্যই নিজের পুরো নাম বলবেন। পরিবার বা বন্ধুরা কী নামে ডাকে সেগুলো অফিসে না বলাই ভালো। অফিসের সহকর্মী হোক কিংবা বাইরের ক্লায়েন্ট হোক, সবার কাছেই নিজের পুরো নাম বলবেন।দাঁড়িয়ে যানআপনি যদি ডেস্কে বসে থাকেন, তখন কেউ একজন আপনার সঙ্গে পরিচিত হতে এলে তখন অবশ্যই দাঁড়িয়ে যাবেন। প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে হাত মেলাবেন এবং ছোট করে নিজের পরিচয় দেবেন।ই-মেইলে পরিচিতিনিজের ই-মেইলে ছোট করে হলেও পরিচয় লিখে রাখুন। নাম, পদবি, কোন সংস্থা ও কোন বিভাগে কাজ করছেন তা লিখে রাখুন। যাতে, যার কাছেই মেইল পাঠান সে আপনার পরিচয় জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী সাড়া দেয়।চুলে হাত দিবেন নাকোনো প্রেজেন্টেশন অথবা কোনো অফিসিয়াল মিটিংয়ে বারবার চুলের ভিতর হাত দিবেন না। এতে অন্যের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে এবং আপনাকেও অন্যমনস্ক মনে হবে। তাই অফিসে চুল পরিপাটি করে বেঁধে আসার চেষ্টা করুন।শুধু ‘সরি’ লিখবেন নাঅনেক সময় কাজ দেরিতে শেষ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে শুধু ‘আই এম সরি’ এই কথাটি না লেখাই ভালো। এর পরিবর্তে ‘আই অ্যাপোলোজাইস ফর…’ এভাবে মেইল পাঠাতে পারেন।ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা নয়অফিসে রাগ করে সহকর্মীর ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না। এটা কোনো পেশাদারি আচরণ নয়।পরিপাটি পোশাককোনো পার্টি পোশাক অথবা বাসায় পরার মতো পোশাক অফিসে না পরাই ভালো। সবসময় পরিপাটি পোশাক পরে অফিসে আসার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত মেকআপও এড়িয়ে চলুন।কথার মাঝে কথা না বলাঅফিসে অন্যের কথার মাঝে কথা না বলাই ভালো। আগে কথা শুনুন, এরপর উত্তর দিন।বারবার পড়ুনযখন আপনি কোনো মেইল লিখবেন তখন বারবার পড়ে দেখুন ঠিক আছে কি না। সেটা সহকর্মীকে হোক, বসকে হোক কিংবা ক্লায়েন্টকে হোক। ভুল থাকলে সেই মেইল কখনোই পাঠাবেন না। প্রয়োজন হলে অন্যের সাহায্য নিন।অযথা ঝামেলা নয়সহকর্মীর সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্বও ভালো না আবার শত্রুতাও ভালো না। কোনো বিষয়ে অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না। কর্তৃপক্ষ জানলে দু’জনেরই ক্ষতি হবে।এসইউ/এমএস
Advertisement