বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ঘরে ঘরে। শুধু বড়দের মধ্যেই নয়, ছোটদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়াবেটিস। তবে শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস দেখা দেয়, যেখানে বড়রা ভোগেন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে।
Advertisement
টাইপ ১ ডায়াবেটিস কী?
টাইপ ১ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা, এক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। ইনসুলিন এমন একটি হরমোন যা শুধুমাত্র রক্তে চিনি বা গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে না, বরং চিনিকে প্রক্রিয়া করতে ও শক্তিতে রূপান্তর করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস কী? এই রোগ সম্পর্কে যা জানা জরুরি
Advertisement
যদিও টাইপ ১ ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ অস্পষ্ট। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জেনেটিক্স ও অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি ঘটে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে টাইপ ১ ডায়াবেটিস ৪-৭ ও ১০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কোনো নিরাময় নেই। এ কারণে যেসব শিশু েটাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুগছে, তাদের অভিভাবক দুশ্চিন্তায় থাকেন।
আরও পড়ুন: মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে ডায়াবেটিস রোগীরা যা খাবেন
Advertisement
শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ এর লক্ষণ কী কী?
শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন-
১. তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া২. ঘন ঘন প্রস্রাব, সম্ভবত টয়লেট-প্রশিক্ষিত শিশুর বিছানা-ভেজা৩. চরম ক্ষুধা৪. ওজন কমে যায়৫. ক্লান্তি৬. বিরক্তি বা আচরণের পরিবর্তন ও৭. ফলের গন্ধযুক্ত শ্বাস।
আরও পড়ুন: নখ দেখেই বুঝে নিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য বয়স সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এই অবস্থা বেশিরভাগই শিশুদের মধ্যে ঘটে।
তবে যে কেউ ও যে কোনো বয়সীরাই টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভুগতে পারেন। তবে বেশ কিছু মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। যেমন-
১. টাইপ ১ ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস২. জেনেটিক্স৩. জাতি৪. কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ (যা আইলেট কোষের অটোইমিউন ধ্বংসকে ট্রিগার করতে পারে)
আরও পড়ুন: ঘরে ডায়াবেটিস মাপতে গ্লুকোমিটারের সঠিক ব্যবহার জানুন
শিশুর টাইপ ১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়
১. ইনসুলিন গ্রহণ২. রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও৪. নিয়মিত ব্যায়াম করা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম