আকাশপথে বিমানবালা কিংবা কেবিন ক্রু হিসেবে মেয়েদের কদর বা চাহিদা ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, আন্তরিকতা ও ধৈর্য দুটির সম্মিলন রয়েছে নারীর আচরণে। শুধু আচরণইবা কেন নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনের কৌশলটিও নারীরা জানেন পুরুষের চাইতে অনেক বেশি। এসব বাস্তব কারণে এয়ারলাইন্সগুলো নারীদের প্রাধান্য দেয় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস হিসেবে।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এভিয়েশন ফর সেফটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, বিমান ওড়ার সময় ফুয়েলের খরচ কমে যায় বিমানে নারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকলে। গবেষণায় পরীক্ষামূলকভাবে এটাই প্রমাণিত হয় যে, পুরুষের তুলনায় নারী যাত্রী কিংবা কর্মী বিমানে বেশি থাকলে জ্বালানি খরচ কমে যায় অনেক গুণ বেশি। আনুপাতিক হারে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জ্বালানি খরচ কমায়। কেননা নারীর ওজন পুরুষ অপেক্ষা অনেক কম।একই গবেষণায় প্রমাণিত হয় পুরুষ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের তুলনায় নারী ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট যাত্রীদের অনেক বেশি আগ্রহের কারণ হয়। এসবকিছু বিবেচনা করে বিশ্বের প্রায় সবগুলো এয়ারলািইন্স কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস কি পাইলট হিসেবে নারী কর্মীকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।বাংলাদেশে আকাশপথে বিপ্লব ঘটানো বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারেও রয়েছে এক ঝাঁক নারী কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস। এয়ারলাইনসটির মোট কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। এমনকি গ্রাউন্ড সার্ভিস ম্যানেজার হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন একজন নারী কর্মকর্তা। তার নাম মুক্তা অয়াহিদ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে কেবিন ক্রু হিসেবে যোগ দেন বেসরকারি এয়ারলাইন্স জিএমজিতে। অভিজ্ঞতার কারণে এরপর অফার পান সৌদি এয়ারলাইন্সে। দীর্ঘ ৫ বছর সুনামের সহিত কর্মরত ছিলেন সেখানে। বর্তমানে নভোএয়ারের প্রায় অর্ধশতাধিক কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস কাজ করেন তার অধীনে।সফল একজন নারী কেবিন ক্রু হিসেবে অনুভূতি জানতে চাইলে মুক্তা অয়াহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন বিভোর ছিলাম। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে বাবা না মারা গেলে হয়তো ককপিট ক্রু হতাম। তারপরও স্বপ্ন লালন করেছি কেবিন ক্রু হওয়ার মধ্যদিয়ে।নারী দিবস সম্পর্কে মুক্তা অয়াহিদ বলেন, নারী পুরুষ নয়, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। নারী দিবসের কামনা নারী পুরুষ নয়, সবাই যেন মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখে।আরএম/বিএ
Advertisement