নাজিম আল-মামুন
Advertisement
এখানে কোনো পর্দা নেইআছে শুধু খোলা জানালা,চাঁদের কিরণ আর জগতের আদিম স্বর্গীয় সুখ।
এমন রাত্রী এলে—নিশ্চুপ মধ্যরাতের দুনিয়ায়নির্ঘুম চোখ বুঝে আমি কাটিয়ে দিইপুরো একটা স্বপ্নের রাত।আহা! এ রাতের জন্য আমার কত ধৈর্য ধরা—কত অপেক্ষা।
এমন রাত্রী এলে—অবশ্যই, আমার রাত কাটে না প্রেমিকার সাথে পাশাপাশি বসে কথা বলে,ল্যান্ডফোনে কিংবা মুঠোফোনে খোশগল্প করে।চাঁদের দিকে চেয়ে আমি আঁকি ‘জ্যোর্তিময় এক সৌরভমাখা ফুল’।মুখফুলের সৌরভে আমার পুরো গৃহে- উঠোনজুড়ে সুখের বন্যা বয় অবিরাম খুশবুধারার স্রোতে।
Advertisement
এমন রাত্রী এলে—জগতের আদিম স্বর্গীয় সুখ হেলে দুলেআমার মনপ্রাণে-পরমানন্দে।
*
এমন রাত্রী এলে
নির্জনতা নেমে আসেকোলাহল জগতের বুকেক্লান্ত শরীর স্বস্তি নিয়েঘুমিয়ে পড়ে।
Advertisement
এমন রাত্রী এলে
শোনা যায় মৃদুসুরেমা’বুদের আশেক নির্ঘুমে পাঠ করেপবিত্র কোরআন। জায়নামাজ বিছিয়ে সালাত আদায় করে।হাত তোলে প্রার্থনা করে দু’ নয়নের অশ্রু ঝেড়ে।
এমন রাত্রী এলে
কোকিলের কুহু কুহু ডাক শোনা যায়পবিত্রময় শেষরাতেযখন মা’বুদ প্রথম আকাশে নেমে আসে।
*
এমন রাত্রী এলে
কখনো আমার তপস্বী হয়ে যেতে মন চায় সহস্র বৎসর ধরে—
ইয়া ইলাহ!সিজদায় নত হয়; আপনার শুকরিয়ায়।আমার মুখ থেকে সকল শব্দসুবাহানা রাব্বিয়াল আ’লাহয়ে ঝরে পড়ে।
এসইউ/এএসএম