কেউ যদি আপনার সঙ্গে প্রতারণা করেন তাহলে হৃদয় ভাঙা স্বাভাবিক। যা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে জানলে অবাক হবেন, এমন কিছু খাবার আছে যা সত্যিই আপনার হার্টকে দুই টুকরো করে ফেলতে পারে। এই মারাত্মক অবস্থা থেকে রোগীকে বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
Advertisement
আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির জার্নালের কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন) হার্ট ফেটে যাওয়ার (মায়োকার্ডিয়াল ফেটে যাওয়া) মূল কারণ। যার মৃত্যুর হার অনেক বেশি ও অস্ত্রোপচারের পরও রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: হার্ট দুর্বল কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, হার্ট ফেটে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক। এক্ষেত্রে হার্টের প্রাচীর, পেশী বা ভালভ ছিঁড়ে যায়।
Advertisement
এটি হার্ট অ্যাটাকের সময় বা এরপরে ১ মাসের মধ্যে ঘটতে পারে। বেশিরভাগ সময় এই মারাত্মক অবস্থা হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ৫-১০ দিনের মধ্যে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে সঙ্গে যে ওষুধ রাখবেন
হার্ট ফেটে যাওয়ার লক্ষণগুলো কী কী?
১. বুকে ব্যথা২. কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট৩. হার্ট ফেইলিওর৪. তীব্র শ্বাসকষ্ট৫. কার্ডিওজেনিক শক ইত্যাদি।
Advertisement
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও ফেইলিওরের মধ্যে পার্থক্য
হার্টে ফাটল দেখা দিতে পারে যে কারণে-
১. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। নোংরা চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে হার্ট ফেটে যাওয়ার কারণ হতে পারে। সেজন্য- লাল মাংস, মাখন, আইসক্রিমের মতো স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম ২ কারণ জানালো গবেষণা
২. কোলেস্টেরলের মতো উচ্চ রক্তচাপও হার্ট অ্যাটাকের কারণ। যার জন্য বেশি লবণ’যুক্ত খাবারকেই দায়ী মনে করা হয়। তাই ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার ইত্যাদি খাবেন না।
৩. ধূমপান স্নায়ু দুর্বল করে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া শারীরিক ফুসফুসের ক্যানসার সহ বিভিন্ন ক্যানসার এমনকি নানা ধরনের রোগ ব্যাধির অন্যতম কারণ হতে পারে ধূমপানের অভ্যাস।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক/প্রেসওয়্যার ১৮
জেএমএস/এএসএম