শীতে পা ঠান্ডা হয়ে অবশ হয়ে যাওয়া কিংবা পেশিতে টান ধরার ঘটনার সম্মুখীন হন কমবেশি সবাই। এ সময় ঠান্ডা আবাহাওয়ার কারণে পেশিতে টান ধরার ঘটনা বেড়ে যায়।
Advertisement
এমনকি ঘুমের মধ্যেও এ সমস্যা হতে পারে। আবার ঘুম থেকে উঠতে গেলে কিংবা সকালে হাঁটতেই পায়ের শিরায় টান ধরতে পারে। কখনো বা হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। তবে এর কারণ কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। এর থেকে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে এই টান ধরার প্রবণতা বাড়ে।
এছাড়া শরীর ও পরিবেশের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক না থাকার কারণেও শীতে পেশিতে টান ধরার সমস্যা বাড়তে পারে। এ সময় অনেকেই অলস জীবনযাপন করেন, ফলে হঠাৎ করে সামান্য পরিশ্রম করলেও পেশিতে টান ধরতে পারে।
Advertisement
আরও বিভিন্ন কারণে পেশিতে টান ধরতে পারে। যার মধ্যে ভিটামিনের ঘাটতিও উল্লেখিত। শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণেও শীতে এ সমস্যা হতে পারে।
এমনকি অতিরিক্ত ব্যায়াম, পরিশ্রম বা পায়ের পেশির বেশি ব্যবহার কিংবা বেশি সময় বসে থাকা, শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা, ঘুমের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণেও পেশিতে টান ধরতে পারে।
এই সমস্যা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ধমনীগুলোর ভেতর চর্বির আস্তরণ তৈরি হয়। একে ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরসিস’ বলে। এই আস্তরণ বা প্লাক তৈরির ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়।
Advertisement
ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত চলাচল করতে পারে না, এই সমস্যাকে বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’। এই সমস্যার কারণে ব্যথা হয় বিভিন্ন অঙ্গে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে ধমনীগুলোর ভেতর চর্বির আস্তরণ তৈরি হয়। বিশেষ করে পায়ে রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে। ফলে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ বা পিএডি নামক অবস্থার সৃষ্টি হয়, যা খুবই বেদনাদায়ক।
মায়ো ক্লিনিকের মতে, পিএডি’র কারণে পায়ে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। তাই হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা হতে পারে। আবার পেশিতে টান ধরার সমস্যা দেখা দিত পারে।
পিএডির অন্যান্য লক্ষণগুলোর মথ্যে আছে- পায়ের অসাড়তা বা দুর্বলতা, পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন, নখের ধীর বৃদ্ধি, পায়ের আঙুলে ঘা ইত্যাদি।
সূত্র: এক্সপ্রেস.ইউকে/জিনিউজ
জেএমএস/জেআইএম