মুখের ঘা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সাধারণত মুখের ভেতরের ত্বকের আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টির মাধ্যমে মাউথ আলসার বা মুখের ঘা শুরু হয়। একটি ক্ষত থেকে পুরো মুখেই ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
Advertisement
ফলে ব্যথা ও যন্ত্রণা বাড়ে। ঠিকমতো খাওয়া ও কথা বললেও কষ্ট হয় মুখে ঘা হলে। মুখে হঠাৎ কামড় লাগা, টুথব্রাশের আঘাত, শক্ত খাবার খাওয়ার সময় ঘর্ষণ, ভিটামিনের অভাব, দাঁত খোঁচানো, ঘুমের অভাব ও মানসিক চাপের কারণে মাউথ আলসার হয়।
অন্যদিকে শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বাড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
এক্ষেত্রে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-
Advertisement
মধু
ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসি পাতা
ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
Advertisement
লবণ পানি
মুখের ঘা সারাতে লবণ পানি কার্যকর। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
রসুন
প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান আছে। যা ঘায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন ঘষুন।
কমলার রস
ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে আলসার হয়। এ কারণে বেশি করে কমলার রস পান করুন। এ ছাড়াও যেসব খাবোরে ভিটামিন সি আছে সেগুলো বেশি করে খাওয়া জরুরি।
টুথপেস্ট
টুথপেস্টে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা কালশিটে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। মুখের ক্ষত স্থানে টুথপেস্ট লাগালে ব্যথা কমে ও জ্বালাপোড়া সেরে যায়।
সূত্র: ফেমিনা
জেএমএস/এমএস