বিয়ে নিয়ে প্রতিটি নারীর মনেই নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা থাকে। কেউ চান বিয়েতে বেনারসি গায়ে জড়াতে আবার কেউ চান জামদানি শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গা পরতে। যদিও বর্তমানে লেহেঙ্গার প্রতি নারীদের দুর্বলতা একটু বেশিই।
Advertisement
এছাড়া হাল ব্রাইডাল ফ্যাশনেও লেহেঙ্গার জনপ্রিয়তা অনেক। এখন আবার ডিজাইনার লেহেঙ্গায় ঝোঁক বেশি কনেদের।
অনেকেই হয়তো চান বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা তাদের বিয়েতে যে ধরনের লেহেঙ্গা পরেছেন, তেমন ডিজাইন ও রঙের লেহেঙ্গা আপনিও বিয়েতে পরবেন।
আবার অনেকে ডিজাইনারের সাহায্যে নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের লেহেঙ্গা প্রস্তুত করেন। আপনিও যদি বিয়েতে লেহেঙ্গা পরার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। জেনে নিন কী কী-
Advertisement
পরিকল্পনা করুন
বিভিন্ন ব্রাইডাল ছবি দেখে বা ব্লগ/জার্নাল পড়ে সিদ্ধান্ত নিন। নানাজনে নানা ধরনের বুদ্ধি দেবে আপনাকে। তবে নিজের বুদ্ধিতেই কাজ করুন।
লেহেঙ্গা পরতে চাইলে সেটা কেন পরতে চাইছেন তা জানতে হবে। বিয়েতে শাড়ি নাকি লেহেঙ্গা পরবেন আগে সেটি নির্ধারণ করুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রথমে বাজেট ঠিক করুন
Advertisement
ব্রাইডাল লেহেঙ্গার দামেও তারতম্য আছে। কোনোটির ভারি সূচিকর্ম থাকে, আবার ফেব্রিক ব্যবহারের ভিন্নতা দেখা যায়। ডিজাইন অনুসারে, একটি বাজেট ঠিক করুন। সে হিসেবে লেহেঙ্গার ডিজাইন ও কাপড়ের মান দেখে নিন।
ডিজাইনারের পরামর্শ নিন
এখন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মত বিয়ের কনে কিভাবে সাজবেন, কি পরবেন তাকে দেখে ডিটেইলসে বলে দেন ডিজাইনাররা।
তেমন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনাকে দেখেই বলে দেবেন কি রং বা কি ধরনের স্টাইলের লেহেঙ্গায় আপনাকে সবচেয়ে মানাবে।
কেনার উপযুক্ত সময় দিন
বিয়ের মতো জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে কতজনই না কতকিছু করেন। বেশিরভাগ মানুষই বিয়ের একমাসের মাথায় তাড়াহুড়ো করে পোশাক কিনতে যান, এটি কিন্তু ঠিক নয়।
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পর থেকে বা বিয়ের ঠিক ৬ মাস আগে থেকে লেহেঙ্গা নির্বাচনের কাজটি সেরে ফেলুন।
বিয়ের সময় অনুযায়ী লেহেঙ্গা
যদি আপনি গরমে বিয়ে করছেন তাহলে চেষ্টা করুন পিচ, পিংক, হলুদ এসব রঙের ওপর বেস করে লেহেঙ্গা পরার। আর শীতকালে বিয়ে করলে চোখ বন্ধ করে গাঢ় রং বাছুন।
অনলাইনে লেহেঙ্গা
এখন বিভিন্ন অনলাইন সাইটে সাধ্যের মধ্যে দারুণ সব ডিজাইনের লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। তবে সেখান থেকে কেনার সময় কিছু জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন।
এক্ষেত্রে অন্যদের রিভিউ দেখবেন। শুধু ক্যাটালগের ছবির ওপর নির্ভর করে লেহেঙ্গা কিনবেন না। পুরো সেটের ছবি দেখে লেহেঙ্গা কিনুন।
পুরো লেহেঙ্গার সেট দেখে-শুনে-বুঝে কিনুন
লেহেঙ্গার ডিজাইন ও ফেব্রিক ছাড়াও ওড়না ও ব্লাউজের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। লিখুঁত লেহেঙ্গা বাছাইয়ের আগে লেহেঙ্গার সঙ্গে সম্পূর্ণ ম্যাচিং ও মার্জিত হচ্ছে কি না তা দেখে নেওয়া জরুরি। ব্লাউজের ডিজাইনও এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
লেহেঙ্গার ডিজাইন
লেহেঙ্গা কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে হাতার মাপ, গলার কাটিং আর পেছনের ডিজাইন ঠিকঠাক হয়েছে কি না। এজন্য সময় নিন যথেষ্ট, শুধু বিয়ের দিনের লেহেঙ্গা নয় গায়ে হলুদ, রিসেপশন এসবের সাজপোশাক বাছাতেও সময় নিন।
বেনারসি দিয়ে লেহেঙ্গা
চাইলে বেনারসি দিয়েও লেহেঙ্গা পরতে পারে। এখন বেনারসি সিল্ক এবং ডিজাইনে লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। তাছাড়া বেনারসি শাড়িকেও লেহেঙ্গার মতো পরতে পারেন। এজন্য পরতে হয় ক্যানক্যান। তার উপরে শাড়ি পরালে লেহেঙ্গার মতোই মনে হবে।
আরামদায়ক পোশাক বাছুন
বিয়ের দিন ভারি ও অ্যাম্ব্রোয়েডারির কাজ করা পোশাক পরলে নজর যায় সেদিকেই। তবে ওই দিন বিয়ের পোশাকের ফেব্রিক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কারণ আরামদায়ক পোশাক হলে, তবেই নিজের বিয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। লেহেঙ্গার বিভিন্ন কাজ ত্বকের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
পরিবর্তনের সময় রাখুন
হাতে সময় রেখে লেহেঙ্গা কিনুন যাতে ছোট-বড় বা অপছন্দ হলে পালটানোর সময় হাতে থাকে। এজন্য বিয়ের মোটামুটি তিন থেকে ছয় মাস আগে কিনে ফেলুন বিয়ের পোশাকটি। না হলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
জেএমএস/জেআইএম