সকালের নাস্তায় পাউরুটির সঙ্গে কিংবা বিভিন্ন পদ রান্নায় মাখন খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। মাখনের স্বাদে ও গন্ধে সবাই মুগ্ধ, তবে এটি শরীরের জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
Advertisement
পুষ্টিবিদদের মতে, মাখনে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত মাখন খাওয়ার অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
এতে ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ অনেক থাকে। মাখনে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে বাড়ে এলডিএলের (খারাপ কোলেস্টেরল) মাত্রা।
শরীরে এলডিএল এর মাত্রা যত বাড়বে, ততই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়বে। ধমনির উপরে প্রধানত চাপ সৃষ্টি হয় খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও মাখনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে তবে এটি মূলত চর্বি দ্বারা গঠিত। যা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে আছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যানসার।
বিশেষ করে যারা হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের মাখন গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত। মাখন বেশি খাওয়ার কারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসও হতে পারে।
তবে গবেষকদের মতে, সপ্তাহে ২-৩ দিন মাখন খেতে পারবেন। তবে এক বা দু’চামচের বেশি নয়। তাহলে মাখনের পুষ্টিগুণ শরীরের কোনো ক্ষতি করবে না।
শুধু মাখন নয় শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার পরিমাণও সীমিত করুন। এগুলো বেশি খেলে যে ক্ষতি হয়, বেশি মাখন খেলেও একই ধরনের ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
Advertisement
সূত্র: নিউজ মেডিকেল.নেট
জেএমএস/জেআইএম