মুক্তি
Advertisement
তুমি বলেছিলে, মুক্তি চাওআমি তোমাকে চিরতরে মুক্তি দিয়েছিপাখির মতো উড়ে গিয়ে ফিরে এসেছো বটেআমি আর ভালোবাসায় নেইমুক্ত বিহঙ্গটা আমিই হয়েছিকোথা থেকে যে উড়েছি কিছুই মনে পড়ে না।
তুমি বলেছিলে, একাকী থাকতে চাওকিছুদিন পর আবার তুমি আসবেবনফুল, ঘাসফুলের মতো একাকী হাসতে শিখেছিদূরের মেঠোপথের পিষে যাওয়া দুর্বাঘাসের মতো বাঁচতে শিখেছিএখন তুমি আমাকে চাওঅথচ আমি একাকিত্বের সুখেই ভেসে গেছি।
****
Advertisement
ভীষণ ভালোবাসি
তোমায় ভীষণ ভালোবাসিএই ভালোবাসা আকাশের মতো স্থিরমাঝেমধ্যে মনটা আকাশের মতোই রঙিন হয়তোমার বিরহে আকাশের মতো বিদীর্ণ হয়ে চোখে জল নামেতোমায় দেখার সুখে মনটা বর্ণিল রঙে সাজেতোমার না দেখার যাতনার ঝলসানো শস্যের মতো মন পুড়ে যায়।
তোমায় ভীষণ ভালোবাসিআমি আজন্মকাল তোমাকেই চাইপৃথিবীর সমস্ত মুখে তুমি ভেসে ওঠোভাবনার অনন্তকাল কল্পনার প্রতিটি লাইনে তুমি আসোতোমার শূন্যতার আকালে রোজ নিঃসঙ্গ রাত্রির মতো ক্রমশ আঁধার নামেতোমার মুখখানি চোখেই লেগে গেছেআমার শহরের প্রতিটি দেওয়ালে তোমার মুখ দেখি।
আমি তোমার প্রেমে মাতালএই মাতাল প্রেমের সুখে আমি তোমায় রোজ ভালোবেসে যাই।
Advertisement
****
একদিন
একদিন আমাদের এক গ্রীষ্মের ভাপসা গরমে দেখা হবেব্যস্ত শহরের অগণিত মানুষের ভিড়ে,কয়েক মাইল পেছনে ফেলে এক ক্লান্তি শেষে দু’জনেই সম্মুখে আসবোতীব্র গরমেও আমাদের হৃদয়ে শীতলতা নামবেআমাদের এক জনমের হৃদয়েয় বিতৃষ্ণা মুহূর্তেই নেমে যাবে।
একদিন আমাদের বর্ষার তীব্র বর্ষণে দেখা হবেদূরত্বের বেদনারা চোখের জলে শ্রাবণের জলে মুছে যাবেএকজোড়া ভেজা কদম ফুল তোমার হাতে তুলে দেবোপ্রকৃতির ঝড় বৃষ্টিতে একাকিত্বের ঘূর্ণিঝড় থামবেএক জনমের না পাওয়া মুহূর্তেই থামবে।
একদিন আমাদের শীতের তীব্র ঠান্ডায় দেখা হবেসেদিন আমাদের হৃদয়ের সমস্ত কুয়াশা সরে যাবেশীতের মিষ্টি রোদের মতো প্রাণোচ্ছ্বল হাসিতে আমরা হাসবোপুরোনো সব রংহীন স্বপ্ন হলদে সর্ষে ফুলের মতো রঙিন হবেএক জনমের দূরত্ব মুহূর্তেই ঘুচে যাবে।
কবি: স্নাতকোত্তর শেষ পর্ব, সমাজকর্ম বিভাগ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।
এসইউ/জেআইএম