বনি ইসরাইলদের জন্যও ছিলো তওবার বিধান। তারা যখন গো-বছুরের প্রতিমূর্তির পূজা করেছিলো তখন আল্লাহ পক্ষ থেকে তাদের প্রতি তওবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের তওবা কেমন ছিল? তারা কীভাবে তওবাহ করেছিল?
Advertisement
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে উল্লেখ করেন, ‘আর যখন মুসা তার সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদেরই ক্ষতিসাধন করেছ এই গো-বাছুরকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করে। কাজেই এখন তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার প্রতি এবং নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমাদের স্রষ্টার কাছে। তারপর তোমাদের প্রতি (ক্ষমা করা হলো) লক্ষ্য করা হলো। নিঃসন্দেহে তিনিই ক্ষমাকারী, অত্যন্ত মেহেরবান। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫৪)
বনি ইসরাইলের তাওবার ধরনআয়াতের তাফসিরে তাওবার ধরন হচ্ছে, নিজ নিজ জীবন বিসর্জন দেয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে পাপ থেকে মুক্ত করবে। অর্থাৎ বনি ইসরাইলিরা গো-বাছুর প্রতিমূর্তি পূজায় তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাহলো-১. প্রথম দল নিজেরা পূজা করেনি এবং অন্যকে পূজা করতে বিরত রাখে।২. দ্বিতীয় দল নিজেরা পূজা করেনি কিন্তু কাউকে পূজা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করেনি।৩. তৃতীয় দল, যারা পূজা করেছে নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে। এখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল অপরাধী। যদিও দ্বিতীয় দল তৃতীয় দল অপেক্ষা কম অপরাধী।
তাই আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলিদের তওবার ফয়সালায় আল্লাত তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা হলো এই-১. প্রত্যেকেই নিজেকে নিজে হত্যা করা।২. দ্বিতীয় দল কর্তৃক তৃতীয় দলকে হত্যা করা।সুতরাং এ আয়াত থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত যে, আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদির প্রতি কত ইহসান তথা দয়া করেছেন। তওবার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়ার বিধান রহিত করেছেন। আল্লাহর কাছে অন্যায় না করার একান্ত ইচ্ছা ব্যক্ত করে তওবা করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার তওবা কবুল করে ক্ষমা করে দেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তওবার মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/এমএস