আইন-আদালত

সংবিধান মেনেই প্র্যাকটিস করছি : বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী

হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আইন মেনেই আমি প্র্যাকটিস করেছি। সংবিধানই আমাকে মামলার প্র্যাকটিস করার ক্ষমতা দিয়েছে। তাই আমি সংবিধান মেনেই প্র্যাকটিস করছি।বুধবার দুপুরে মীর কাসেম আলীর পক্ষে শুনানিকালে তার আইনজীবী হিসেবে অংশ গ্রহণ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী।   তিনি বলেন, সকালে মামলার শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মাই লড, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা সরকারি বাড়ি-গাড়ি ব্যবহার করে প্র্যাকটিস করছেন যা শোভনীয় নয়।’ তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দীর্ঘদিন চাকরি করার পর বিচারপতিরা এক বছর পর্যন্ত বাড়ি-গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এটা তাদের প্রিভিলাইজ (সুযোগ)। এ সময় আমাকে (বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে) উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।’প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান বিচারপতিদের আদালতের  প্রথা ও নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত।’বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তখন আমি বলেছি- ‘মাই লর্ড অতীতেও আমি এর অপব্যবহার করিনি, এখনো করছি না। আর কয়েকমাস আছি (সুবিধা নিতে পারবো), আমি ভবিষ্যতেও এর অপব্যবহার করবো না। আমি আইন মেনে আইন পেশায় কাজ করছি। কারণ সংবিধান আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৯৯ অনুচ্ছেদের ২ এর (১) এ সর্ম্পকে বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগের  বিচারক পদে বহাল থাকলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের পর তিনি আপিল বিভাগে ওকালতি বা কার্য করিতে পারিবেন’। এর আগে বুধবার সকালে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়া অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান বিচারপতিদের আদালতের নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিল আবেদন শুনানির সময় এসব কথা বলেন তিনি।বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে মীর কাসেম আলীর আপিলের শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়। তখন মীর কাসেম আলীর পক্ষে শুনানির জন্য দাঁড়ান সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি অবসর-পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল) রয়েছেন।  হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী গত ১০ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন। এখনও তিনি বিচারপতিদের বাসভবনে থাকেন।এফএইচ/একে/আরআইপি

Advertisement