হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন জিনিসের বদৌলতে বেশির ভাগ লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেন, তাক্বওয়া ও সচ্চরিত্রের বদৌলতে। তাকে আরও জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন জিনিসের কারণে অধিকাংশ লোক জাহান্নামে যাবে? তিনি বলেন, দুটি অংগ- মুখ ও লজ্জাস্থান।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি যখন গুনাহ করে তখন তার কলবে একটি কালো দাগ পড়ে। এরপর সে তওবা করলে, পাপকাজ ত্যাগ করলে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে তার কলব পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। সে আরও গুনাহ করলে সেই কালো দাগ বেড়ে যায়। এই সেই মরিচা যা আল্লাহ তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন- ‘কক্ষনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং (মরিচা) ধরিয়েছে’ (সুরা আল-মুতাফফিফিন : আয়াত ১৪)।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, ‘হে আয়েশা! ক্ষুদ্র গুনাহ থেকেও সাবধান হও। কারণ সেগুলোর জন্যও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)
হজরত আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা জাহেলি যুগে যা (গুনাহের কাজ) করেছি, সে সম্পর্কে কি আমাদের জাবাবদিহি করতে হবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যারা ইসলাম গ্রহণের পর ভালো কাজ করেছে তাদেরকে জাহেলি যুগের কৃতকর্ম সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে না। কিন্তু যে ব্যক্তি (ইসলাম গ্রহণের পরও) মন্দ কাজ করবে, তাকে পূর্বাপর সব কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।’ (ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি)
Advertisement
এমএমএস/এএসএম