আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে তাঁর দেয়া জীবন-ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। যখনই কালিমার দাওয়াত পেশ করা হতো, তখনই তারা নানা অজুহাত, শর্তারোপ করতো। যা ঘটেছে হজরত মুসা আলাইহিস সালামের ক্ষেত্রেও। আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী মুসা আলাইহিস সালাম তার উম্মতের লোকদের নিয়ে তুর পাহাড়ে গেলে সেখানে যা ঘটে, তার বিবরণ উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন-আর যখন তোমরা বললে, হে মূসা, কস্মিনকালেও আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহকে (প্রকাশ্যে) দেখতে পাব। বস্তুতঃ তোমাদিগকে পাকড়াও করল বিদ্যুৎ। অথচ তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে। তারপর, মরে যাবার পর তোমাদিগকে আমি তুলে দাঁড় করিয়েছি, যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৫৫-৫৬)এ আয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের কাওমের নেতৃস্থানীয় সত্তর জন ব্যক্তিই আল্লাহকে দেখার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার ফলে তাদের উপর আজাব আসে। যার ফলে তারা মৃত্যু বরণ করে। মুসা আলাইহিস সালাম তাদের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে আবার জীবিত করে দেন।বনি ইসরাইলিরা যখন মুসা আলাইহিস সালামকে বিশ্বাস করেনি, তারা আল্লাহর কথা নিজ কানে শ্রবণ করার শর্তারোপ করে, আর আল্লাহর ওয়াদা অনুযায়ী মুসা আলাইহিস সালাম তাদের নিয়ে পাহাড়ে যান। সেখানে তারা আল্লাহ কথা শ্রবণ করেন। সেখানে তারা নতুন শর্তারোপ করেন যে, তারা আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চান। না দেখা পর্যন্ত পর্যন্ত তারা মুসার প্রতি ঈমান আনবেন না। তখন আল্লাহর আজাব তাদেরকে গ্রাস করে। তারা সবাই মৃত্যু বরণ করে।অনন্তর হজরত মুসা আলাইহিস সালাম অনেক বিনয়ের সঙ্গে প্রার্থনা করেন, হে আল্লাহ! এদেরকে আপনি জীবিত করে দিন। নতুবা আমি বনি ইসরাইলদের কি জবাব দেবো। কার কাছে তাওহিদের দাওয়াত দেবো। অতপর আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন এবং সবাইকে পুনরায় জীবিত করে দেন। এ আয়াতে আমাদের জন্য শিক্ষা হচ্ছে, আমরা বারবার গোনাহ করি, গোনাহের ফলে আল্লাহ আজাব ও গজব আমাদের উপর পতিত হয়। যদি তার কাছে খাটি তাওবা করি। তিনি সকলকে ক্ষমা করবেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা এবং তার বিধানকে মেনে নেয়ার মন-মানসিকতা তৈরি করে দিন। আমিন।এমএমএস/এসএম
Advertisement