নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক বসায় একশতবার ইসতেগফার পড়তেন। যা সাহাবায়ে কেরাম গুণে রাখতেন। নবিজি কেন বেশি বেশি ইসতেগফার পড়তেন? সব সময় ইসতেগফারই বা কেন পড়তে হবে?
Advertisement
বিখ্যাত তায়েবি হজরত হাসান বসরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, বাড়ি-ঘরে, পথ-ঘাটে, হাট-বাজারে, বৈঠক-মজলিসে যেখানেই থাকো, বেশি বেশি ইসতেগফার করো। কারণ জানা তো নেই, কোন মুহূর্তে ক্ষমার ঘোষণা নেমে আসে!
তাইতো বেশি বেশি পড়া-
أَسْتَغْفِرُ الله
Advertisement
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহ’
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।’
এ কারণে সব সময় ইসতেগফার করতে থাকা জরুরি। কেননা আল্লাহ তাআলা যে কোনো সময়ই ক্ষমার ঘোষণা দিতে পারেন। আর সেই সময়টিতে যদি কোনো মানুষ ইসতেগফার করতে থাকে তবে সে সব কিছু থেকেই ক্ষমা পেয়ে যাবে। ইসতেগফার পড়া সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘আমরা গুণে রাখতাম নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক বসায় একশতবার (ইসতেগফার) পড়তেন-
Advertisement
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস