সারাদিনে ব্যস্ততার পড়ে আমাদের একটুখানি অবসর মেলে নিজের যত্ন নেয়ার। সুন্দর ত্বকের মূলমন্ত্র হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ত্বকের ময়লা ঠিকমত পরিষ্কার করা না হলে ব্রণ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে, রুক্ষ, অমসৃণ। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমালে সারা রাতের লম্বা সময় ত্বক একেবারে তরতাজা। ত্বক তেলতেলে ও আর্দ্র হয়ে পড়লে মৃদু সাবান ও পানি দিয়ে মুখ ধোয়া খুব ভালো। অবশ্য শুষ্ক ত্বকে সাবানের বদলে ক্লিঞ্জিং লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা উচিত ভিজে তুলো।রাত্রে লাগানোর ক্রিম ভিটামিন ই যুক্ত হলে উপকার হয়। কারণ ভিটামিন ই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। এছাড়া ক্রিমের মধ্যে এই ভিটামিন মেশানো থাকলে, ক্রিমটি অনেকদিন পর্যন্ত ভালো ও ব্যবহারযোগ্য থাকে। ভালো কোম্পানির ওভারনাইট ক্রিম সব বয়সের জন্যই ভালো।সমপরিমাণে পুদিনা পাতা ও নিমপাতা বেটে শুধু ব্রণ ও দাগের উপর লাগিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন ফেসপ্যাকেও। ব্রণের জন্য ভীষণ উপকারী। চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে ঘুমানোর আগে কুরানো শশা বা আলু ঠাণ্ডা হলে ভালো বা ঠাণ্ডা টি-ব্যাগ চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট।প্রতি রাতে পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এছাড়া নিয়মিত যত্ন হিসেবে সপ্তাহে দু-একবার যেটা করতে পারেন তা হলো- রাতে পা প্রথমে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে, ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম অলিভ অয়েল+১ চা চামচ লবণের মিশ্রণ তৈরি করে সেটা পায়ে ভালো করে মাসাজ করুন। এতে মৃতকোষ ঝরে যাবে, গোড়ালি নরম হবে, রক্ত চলাচল ভালো হবে। ধুয়ে লোশন লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের যত্নও নিতে পারেন একইভাবে। যাদের বড় চুল, তারা বেণী করে নিন ঘুমানোর আগে। ছোট চুল হলে খোলা রেখে শুলেও অসুবিধা নেই। তেল মাসাজ করে শুলে ঘুম ভালো হবে। নখ ফেটে বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমাতে ঘুমানোর আগে হাত-পায়ের নখে জলপাই তেল (অলিভ অয়েল) ম্যাসাজ করে নিন। সারা রাত নখ আর্দ্রতা পাবে। নরম গোলাপি ঠোঁট পেতে প্রতি রাতে ভ্যাসলিনের সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ ঝরে উজ্জ্বলতা আসবে।এইচএন
Advertisement