ফিচার

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান শহীদ হন

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

২০ আগস্ট ২০২২, শনিবার। ৫ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৮২৮- হিন্দুধর্ম সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ও তার বন্ধুরা মিলে এক সর্বজনীন উপাসনার মাধ্যমে কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ শুরু করেন।১৮৯৭- চিকিৎসক রোনাল্ড রস অ্যানোফিলিস মশা বাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন।১৯৬১- পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়।১৯৭০- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।১৯৮৮- দীর্ঘ আট বছর পর ইরান-ইরাক যুদ্ধ বিরতি কার্যকর।

জন্ম১৮৬৩- শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী মৌলভী আবদুল করিম শিক্ষক।১৮৬৪- বাঙালি বিজ্ঞান লেখক ও অধ্যাপক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।১৮৮৬- রবীন্দ্রসাহিত্য সমালোচক ও সাহিত্যিক অজিতকুমার চক্রবর্তী।১৯০১- বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সরোজকুমার রায়চৌধুরী।১৯৪২- বাংলাদেশি কবি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী মেহেরুন নেসা।

Advertisement

মৃত্যু১৯০৬- বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক আনন্দমোহন বসু।১৯৮৬- বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্র সংগীতের বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।১৯৭১- বাংলাদেশের ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার ১০৯, আগা সাদেক রোডের ‘মোবারক লজ’-এ জন্ম তার। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তিনি তাদের অন্যতম। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পি,এ,এফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কমিশন প্রাপ্ত হবার পর তিনি করাচির মৌরিপুর (বর্তমান মাসরুর) এয়ার বেজ এর ২ নম্বর স্কোয়ার্ডন এ জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালের শুরুতে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মতিউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় দুই মাসের ছুটিতে আসেন। ২৫ মার্চের কালরাতে তিনি ছিলেন নরসিংদীর রায়পুরার রামনগর গ্রামে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সঙ্গে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুললেন৷ যুদ্ধ করতে আসা বাঙালি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকলেন। এইদিনে শত্রুদের হাত থেকে বিমান রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হন।২০১৩- ভারতীয় চিকিৎসক, সমাজসেবী,যুক্তিবাদী ও মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি নরেন্দ্র দাভোলকার।

দিবসবিশ্ব মশা দিবস।

কেএসকে/এএসএম

Advertisement